উপচে: হাবড়া হাসপাতালে শিশু বিভাগের এখন এমন ভিড়েঠাসা অবস্থা। ছবি: সুজিত দুয়ারি
ডেঙ্গি আক্রান্ত এক মহিলার মৃত্যু হল হাবড়ার কুমড়া পঞ্চায়েতের মহিসা মছলন্দপুর এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে আরজিকর হাসপাতালে শোভা মণ্ডল (৪৫) নামে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। এই নিয়ে হাবড়া-অশোকনগর এলাকায় এ বার জ্বর-ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল ২০ জনের।
গ্রামবাসীর ক্ষোভও বাড়ছে। তাঁদের দাবি, কুমড়া পঞ্চায়েত এলাকায় জ্বর-ডেঙ্গি ছড়ালেও পঞ্চায়েত হাত গুটিয়ে বসে আছে। মশা মারা কার্যত হচ্ছে না। তাঁদের প্রশ্ন, আর কত মানুষের মৃত্যু হলে পঞ্চায়েত নড়চড়ে বসবে! শোভার স্বামী লক্ষ্মণ দাবি করেছেন, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এলাকায় মশা মারা হয়নি। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মাস দেড়েক আগে একবার রাস্তার পাশে বন-জঙ্গল সাফাই হয়েছিল। তেল, ব্লিচিং ছড়ানো হয়েছিল। তবে সে সময়েও গ্রামে ঢোকেননি পঞ্চায়েত কর্মীরা।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ অগস্ট শোভা জ্বরে আক্রান্ত হন। স্থানীয় চিকিৎসককে দেখানো হয়। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ায় তাঁকে হাবড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বারাসত জেলা হাসপাতাল ও পরে আরজিকরে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তিনি মারা গিয়েছেন।
এলাকায় এখনও ঝোপ-জঙ্গল, আগাছা দেখা গেল। ডোবায় জল জমে রয়েছে। তাতে মশার লার্ভা ভাসছে। কুমড়া পঞ্চায়েতের প্রধান রত্না বিশ্বাস অবশ্য দাবি করেন, নিয়মিত এলাকায় তেল, ব্লিচিং, চুন ছড়ানো হচ্ছে। ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রধানের কথায়, ‘‘মানুষের ধারণা, সব কাজ পঞ্চায়েত করে দেবে। বাসিন্দাদের যেন কোনও দায়িত্ব নেই!’’
এ দিকে, হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে জ্বর-ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে। একই শয্যায় তিন-চার জন রোগীও থাকছেন। খারাপ অবস্থা শিশু বিভাগের। ১১টি শয্যা রয়েছে। কিন্তু শিশু ও মায়েদের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy