সিন্টু ভট্টাচার্য
তখন বেলা সাড়ে ১২টা হবে। মতিগঞ্জ এলাকায় রাখালদাস সেতুর কাছে একটি সিগারেটের দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ শুনি সকলে হই হই করছে। সেতুর দিকে তাকিয়ে দেখি, একটি ট্রাক সেতুর উপরে একটি গাড়ি ও মিনি ট্রাককে ধাক্কা মেরে এগিয়ে আসছে। ভয়ে লোকজন ছোটাছুটি করছে। এক মহিলা সাইকেল নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পড়লেন। টোটো চালকেরা যাত্রী নিয়ে রাস্তার পাশে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করছেন। ট্রাকটি সাইকেল-সহ মহিলাকে ধাক্কা মারল। মহিলা ছিটকে পড়লেন। পর পর ’দুটি টোটোতে ধাক্কা মারল ট্রাক। যাত্রীরা পড়ে গেলেন। পথচারীদের ধাক্কা দিয়ে এগিয়ে গেল মূর্তিমান বিভীষিকা সেই ট্রাক। ওখানে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি ছিল। সেটি ট্রাকের ধাক্কায় গুঁড়িয়ে গেল চোখের নিমেষে। রাস্তার উপরে বাঁশের তোরণে ধাক্কা মেরে থামল ট্রাক। তোরণের পাশে লোকজন বসে ছিলেন। তোরণটি না থাকলে আরও লোকজন মারা যেতে পারতেন। লোকজন চারদিক থেকে ছুটে আসছিলেন। তার মধ্যে চালক নেমে বেপাত্তা। মনে হচ্ছিল যেন সিনেমার পর্দার কোনও দৃশ্য দেখছি। পাশাপাশি মনে পড়ে গেল লন্ডনে ট্রাক নিয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনাও। বুক কেঁপে উঠল আরও। লোকজন ছুটে এসে জখম সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করলেন। পুলিশ, দমকল এল কিছুক্ষণের মধ্যেই। রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল। ভয়ে আমার হাত পা তখন কাঁপছে। দিনের ব্যস্ত সময়ে শহরের রাস্তায় ট্রাক চলাচল বন্ধ না করলে ফের একই ঘটনা ঘটবে না, তা কে বলতে পারে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy