Advertisement
E-Paper

নজরে ‘ভিন্‌দেশি’, দিল্লির পাঠানো দল রাজ্যে

মানবাধিকার সম্পর্কিত তথ্য অনুসন্ধানকারী একটি দল শনিবার পৌঁছয় বারুইপুরে। সেখানকার হাড়দহ, উত্তরভাগ এলাকায় যায় তারা। পরে জয়নগর, কুলতলি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকাও ঘুরে দেখে।

An image of construction

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৪৩
Share
Save

অবৈধ ভাবে বসবাসকারীদের খোঁজে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘুরল দিল্লি থেকে আসা একটি দল। মূলত বারুইপুর মহকুমার কয়েকটি জায়গায় কিছু ‘অস্বাভাবিক ঘটনা’ও চিহ্নিত করেছেন প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই প্রক্রিয়াকে বিজেপির কাজ বলে উল্লেখ করেছে।

মানবাধিকার সম্পর্কিত তথ্য অনুসন্ধানকারী একটি দল শনিবার পৌঁছয় বারুইপুরে। সেখানকার হাড়দহ, উত্তরভাগ এলাকায় যায় তারা। পরে জয়নগর, কুলতলি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকাও ঘুরে দেখে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অবৈধ ভাবে এ দেশে এসে বসবাসকারীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতেই তাঁরা এসেছেন বলে জানান দলের সদস্যেরা। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালকে পাঠানো হবে। ওই দলের সদস্য, পটনা হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি নরসিংহ রেড্ডি বলেন, “খবর পেয়ে অনেকেই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। বাড়িতে খাবার, রান্নার সরঞ্জাম রয়েছে। ঘরে তালা দিয়ে গিয়েছেন। আমাদের ধারণা, এঁরা সকলেই রোহিঙ্গা। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মদতে এলাকায় থাকছেন। এ ভাবে অনেক অপরাধীও এলাকায় এসে থাকছে।” বারুইপুর-পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দার অবশ্য বলেন, “এখানে কোনও রোহিঙ্গা নেই। তথ্য অনুসন্ধানকারী দল বিজেপি নেতাদের গাড়িতে নিয়ে ঘুরেছে। এতেই স্পষ্ট, ওঁরা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিলেন। এ সব না করে বিজেপি গরিব মানুষের একশো দিনের কাজের টাকা দিক।”

প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা যায় বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বকে। বারুইপুরে সঙ্গে ছিলেন দলের যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল। জয়নগর, কুলতলিতে ছিলেন জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উৎপল নস্কর। উৎপল বলেন, “ওঁরা এলাকা চেনেন না। তাই পথ দেখাতে সঙ্গে ছিলাম। দলের পতাকা ছিল না।” এই প্রসঙ্গে প্রতিনিধিদলের সদস্য সঞ্জীব নায়েক বলেন, “যে কোনও রাজনৈতিক দলের কেউ সঙ্গে থাকতেই পারেন। আমাদের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই।”

বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে প্রতিনিধিদল নকল আধার কার্ডও পেয়েছে। তবে, আবদুল গফ্ফর সর্দার নামে উত্তরভাগ সর্দারপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, “২২ বছর এখানে আছি। সরকারের লোকজনই কার্ড বানিয়ে দিয়েছেন। ওঁরা বলছেন, কার্ড নকল।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Illegal Constructions Residents new delhi Baruipur

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}