অবরোধ: বাদুড়িয়ার রাস্তায়। ছবি: নির্মল বসু
ট্রাকের ধাক্কায় জখম হল এক স্কুল ছাত্রী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়ায়। বর্ষা মণ্ডল নামে ওই ছাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রাক চালকের খোঁজ করছে পুলিশ।
রাস্তার পাশে ইমারতি দ্রব্য রাখায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। এর আগে পথ দুর্ঘটনায় এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। এ দিন স্থানীয় বাসিন্দারা ইমারতি দ্রব্য সরানো এবং স্কুলের সময়ে সীমান্ত বাণিজ্যের ট্রাক চলাচল বন্ধের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেন। রাস্তার মাঝে বাঁশ বেধে ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ চলে। পুলিশ এসে ক্ষুব্ধ জনতাকে বুঝিয়ে শান্ত করে।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদুড়িয়া শহরে বেশ কিছু জায়গায় রাস্তার উপরে ইট, বালি, পাথর এবং গাছের গুঁড়ি পড়ে রয়েছে। কেউ কেউ পথ আটকে ইমারতি দ্রব্য মেশানোর কাজ করছেন। এ জন্য প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। প্রশাসনের পক্ষে রাস্তার ধার পরিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। এই রাস্তা দিয়ে দ্রুত গতিতে চলে সীমান্ত বাণিজ্যের ট্রাক। সেগুলি দ্রুত গতিতে চলে। ওই রাস্তা দিয়েই স্কুল পড়ুয়ারা যাতায়াত করে। এক কথায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তারা এ পথ দিয়ে যাতায়াত করে বলে গ্রামবাসীরা অনেকেই জানালেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্ষার বাড়ি ওই এলাকার ঈশ্বরীগাছায়। সে এলএমএস গার্লস হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোয়। পিছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা মারে। রাস্তার পাশে ফেলে রাখা পাথরকুচির উপরে তার সাইকেলের চাকা পিছলে যায়। ছিটকে পড়ে মেয়েটি। পায়ের উপর দিয়ে ট্রাক চলে যায়।
ঘটনার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা। রাস্তা অবরোধ শুরু হয়। এলএমএস গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা লক্ষ্মী দত্তবণিক বলেন, ‘‘রাস্তার পাশে বালি-পাথর ফেলে রাখার জন্যই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’
রাস্তার উপরে ইমারতি দ্রব্য রাখায় ক্ষুব্ধ বাদুড়িয়ার পুরপ্রধান তুষার সিংহও। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা রাস্তার পাশে ইমারতি দ্রব্য রাখছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কিছু করছে না। ওই ছাত্রীর চিকিৎসার খরচ আমরাই করব।’’
পুলিশ জানায়, অনেক বার ওই ইমারতি দ্রব্য সরাতে বলা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সচেতন হচ্ছেন না। এ বার ওই দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং যাঁরা রাখছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy