Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Sexual Harassment

ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, বেপাত্তা অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষক

গত সেপ্টেম্বরে ছাত্রীটি প্রথম নির্যাতনের শিকার হয় বলে অভিযোগ। তার পরে একাধিক বার একই ঘটনা ঘটে। একাকী কান্নাকাটি করলেও কাউকে ঘটনাটি জানায়নি সে।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৫৫
Share: Save:

বারো বছরের এক ছাত্রীর উপরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ শহরতলির সরকার পোষিত একটি স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের খোঁজ পায়নি পুলিশ। পকসো আইনে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে একাধিক বার যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে দক্ষিণ শহরতলির বাসিন্দা ওই ছাত্রীটিকে। নির্যাতিতাকে অভিযুক্ত বলেছিল, ঘটনার কথা কাউকে বললে তার মায়ের মৃত্যু হবে। ভয়ে ওই ছাত্রী বিষয়টি গোপন রেখেছিল। গত ৭ জানুয়ারি তার মা ঘটনাটি জানতে পারেন। ১০ জানুয়ারি বারুইপুর পুলিশ জেলার একটি থানায় ধর্ষণ, হুমকি দেওয়া-সহ নানা অভিযোগে মামলা রুজু হয়।

সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বরে ছাত্রীটি প্রথম নির্যাতনের শিকার হয় বলে অভিযোগ। তার পরে একাধিক বার একই ঘটনা ঘটে। একাকী কান্নাকাটি করলেও কাউকে ঘটনাটি জানায়নি সে। ধীরে ধীরে মানসিক ও শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে ছাত্রীটি। বরাবর স্কুলে ভাল ফল করে সে। কিন্তু সম্প্রতি পড়াশোনায় মন বসাতে পারছিল না। অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলেও সে তার মা বা সহপাঠীদের কিছু জানায়নি। সম্প্রতি ছাত্রীটি তার মাকে বলে, ‘‘যা ঘটেছে, তা জানাজানি হলে তোমার মৃত্যু হবে।’’ পরে তার মা তাকে আশ্বস্ত করেন। তাকে বোঝানো হয় যে, সত্যি কথা বললে মায়ের কোনও ক্ষতি হবে না। তখনই ছাত্রীটি গত কয়েক মাসের ঘটনা খুলে জানায়। সূত্রের খবর, ওই শিক্ষক ছাত্রীটিকে স্কুলের পাশে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে তার উপরে যৌন নির্যাতন চালাত বলে অভিযোগ।

পুলিশ ঘটনাটি জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে জানায়। সূত্রের খবর, সোমবার ওই ছাত্রীকে নিয়ে তার মা কমিটির কার্যালয়ে এসেছিলেন। কমিটির চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায় টামটা বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’’ চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির আর এক সদস্য জানান, ছাত্রীটি রীতিমতো আতঙ্কিত। আপাতত তাকে বাড়িতেই রাখা হয়েছে। অসুস্থ থাকায় তার মেডিকো-লিগাল পরীক্ষা করা যায়নি। সুস্থ হলে করা হবে। ছাত্রীটির কাউন্সেলিং প্রয়োজন বলেও জানানো হয়েছে।

কমিটির এক সদস্যা বলেন, ‘‘মেয়েটি নির্যাতনের যে বর্ণনা দিয়েছে, তা আঁতকে ওঠার মতো। এক জন শিক্ষক এমন ঘটনা ঘটাতে পারেন, তা কল্পনাও করা যায় না। পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’ বারুইপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যায়নি। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Sexual Harassment Student Teacher school
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE