Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Ghoramara Island

Ghoramara Island: হুড়মুড়িয়ে নদীতে তলিয়ে গেল স্কুল! ভরা কটালে ফের বিধ্বস্ত ঘোড়ামারা

পূর্ণিমার কটালের জেরে বুধবার ভেঙেছে কুলতলির মাতলা নদীর শাখা নৈপুকুরিয়া নদীর বাঁধও। কাঁটামারি বাজারে ২০ ফুট বাঁধ নদীগর্ভে তলিয়ে যায়।

গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া খাসিমারা স্কুল।

গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া খাসিমারা স্কুল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২১ ২০:৫৮
Share: Save:

পূর্ণিমার কটালের জেরে হুগলি নদীতে জলস্ফীতিতে তলিয়ে গেল স্কুল। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘোড়ামারা দ্বীপের খাসিমারা গ্রামে। নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়া স্কুলটির নাম খাসিমারা নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়।

খবর পেয়ে প্রশাসনের আধিকারিকরা পৌঁছন সাগর ব্লকের অন্তর্গত ওই দ্বীপে। ভাঙন কবলিত ঘোড়ামারা দ্বীপে আমপান এবং ইয়াসের পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করেছে। খাসিমারা গ্রামে বেশ কিছু চাষজমি ও মানুষের ঘরবাড়ি আগেই তলিয়ে গিয়েছে হুগলি নদীতে। ভূমিক্ষয়ের জেরে নদীও ক্রমশ এগিয়ে এসেছে। খাসিমারা নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৭০ জন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দেড় বছর ধরে স্কুল বন্ধ ছিল। গ

ত কয়েক মাসে স্কুলের পাশের জমি ক্রমশ নদীতে তলিয়ে যেতে শুরু করে। বুধবার পূর্ণিমার কটালের জেরে হুগলি নদীতে জলস্ফীতি দেখা দেয়। জোয়ারের জলস্ফীতির সময় স্কুল তলিয়ে যায় নদীগর্ভে।

খবর চাউর হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা এসে ভিড় জমান নদীর পাড়ে। ব্লক প্রশাসন ও সেচ দফতরের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে আসেন। তবে বুধবার সন্ধের মধ্যে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। সাগরের বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা জানিয়েছেন, ‘‘খাসিমারা এলাকায় কোনও ভাবেই ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে ইয়াসের পর থেকে বাঁধ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু এলাকার মতই স্কুলটিও তলিয়ে গেল। তবে ওই এলাকাতেই একটি উঁচু জায়গা দেখে নতুন স্কুল তৈরি করে দেওয়ার ভাবনা চিন্তা চলছে।’’

পূর্ণিমার কটালের জেরে বুধবার ভেঙেছে কুলতলির মাতলা নদীর শাখা নৈপুকুরিয়া নদীর বাঁধও। দেউলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটামারি বাজার এলাকায় ২০ ফুটেরও বেশি বাঁধ নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। তবে কুলতলি ব্লক প্রশাসন ও সেচ দফরের উদ্যোগে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে সেখানে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদীবাঁধ সংস্কার না হওয়ার কারণে এই বিপত্তি। বারুইপুরের মহকুমার শাসক সুমন পোদ্দার বুধবার বিকেলে বলেন, ‘‘ব্লক প্রশাসন, ও স্থানীয় প্রশাসনের, উদ্যোগে বাঁধ সারাইয়ের কাজ চলছে। আমপান ও ইয়াসের কারণে এই এলাকায় নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর পর অবিরাম বৃষ্টির জেরে কিছু অংশের ক্ষতি হয়েছে। তবে সারাইয়ের কাজ চলছে। ভয়ের কারণ নেই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Ghoramara Island Ghoramara South 24 Parganas Sagar Island Soil Erosion The Ganges
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy