ধৃত: খলিল মোল্লা। নিজস্ব চিত্র
অস্ত্র কারবারে জড়িত সন্দেহে খলিল মোল্লা প্রাক্তন এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল ক্যানিং থানার পুলিশ। এর আগে খুনের মামলায় জড়িয়েছিল খলিল। তারপরে দল বহিষ্কার করে তাকে। ২৫ জুলাই রাতে ক্যানিংয়ের আমতলায় একটি অস্ত্র কারখানার হদিস পায় পুলিশ। ওই ঘটনায় আবু সিদ্দিক লস্কর নামে এক জনকে গ্রেফতার করে ক্যানিং ও বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই খলিলকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের দাবি, আমতলায় অস্ত্র কারখানা চলত খলিলের মদতেই। সেখান থেকে অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হত। বাইরে থেকেও খরিদ্দার জোগাড় করত খলিল। সোমবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বালিগঞ্জ স্টেশন-সংলগ্ন এলাকা থেকে খলিলকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে। ক্যানিংয়ের দাঁড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ছিল খলিল। ফেব্রুয়ারি মাসে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা তৃণমূল কর্মী রাজু নস্করকে খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় তার। বেশ কিছু দিন পালিয়ে ছিল সে। পরে পুলিশের ধরে তাকে। অভিযুক্ত নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিছু দিন আগে হাইকোর্ট শর্ত সাপেক্ষে তার জামিন মঞ্জুর করেছে। তারপরেও বিভিন্ন ধরনের বেআইনি কাজে সে জড়িয়ে পড়ে বলে তদন্তকারীদের দাবি।
সম্প্রতি এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর জন্য খলিলের বিরুদ্ধে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ফের পালায় সে। ক্যানিং ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শৈবাল লাহিড়ি বলেন, ‘‘আমাদের দলের কর্মী রাজু নস্করকে খুনের ঘটনায় খলিলের নাম জড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই ওকে দল থেকে বহিষ্কার করি। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আশা রাখি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy