E-Paper

কবে মিলবে ঘর, হা-পিত্যেশ করে বসে আছে বহু পরিবার

একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা প্রকল্পে দীর্ঘ দিন আটকে রয়েছে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে ফের দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। এ দিকে, টাকা না পেয়ে সমস্যায় বহু মানুষ। কী পরিস্থিতি জেলায়, খতিয়ে দেখল আনন্দবাজার

প্রভাস এই ঘরেই থাকেন বাচ্চাদের নিয়ে।

প্রভাস এই ঘরেই থাকেন বাচ্চাদের নিয়ে। —নিজস্ব চিত্র।

নবেন্দু ঘোষ 

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৬
Share
Save

ভেবেছিলেন আবাস যোজনার টাকা পেলে পাকা ঘর বানাবেন। কিন্তু তালিকায় নাম উঠলে আজও টাকা মেলেনি। ভাঙাচোরা বাড়িতে কোনও রকমে মাথা গুঁজে দিন কাটছে হিঙ্গলগঞ্জের রূপমারি পঞ্চায়েতের মধু সর্দার, গোবিন্দ সর্দারদের।

ত্রিপল ঘেরা ঝুপড়িতে থাকেন গোবিন্দ। দিনমজুরি করেন। মাঝে মধ্যে রাজ্যের বাইরেও কাজে যান। সংসার টানতে স্ত্রী সুন্দরীও দিনমজুরি করেন। চার বাচ্চা নিয়ে ঝুপড়িতে কাটে রাত-দিন। গোবিন্দ জানান, বৃষ্টি হলে জল ঢোকে ভিতরে। রাতের দিকে জোরে বৃষ্টি হলে জেগেই কাটাতে হয়। গরম বাড়লে আবার ত্রিপলের ছাউনির নীচে টেকা যায় না। ঠান্ডায় কষ্ট বাড়ে। সুন্দরী বলেন, “ভেবেছিলাম, এই শীতের আগে ঘর হয়ে যাবে। কিন্তু তা আর হল না। বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে কাটাতে হবে শীতের দিনগুলো।” গোবিন্দের আক্ষেপ, “নিজের রোজগারে মাটির বাড়ি করারও সামর্থ্য নেই। জানি না, কোনও দিন সরকারি ঘর মিলবে কি না!”

দিনমজুরি করে সংসার চলে মধুরও। তা-ও কখনও কাজ জোটে, কখনও জোটে না। স্ত্রী অসুস্থ। সংসার চলছে না দেখে ছেলে কিছু দিন হল তামিলনাড়ু চলে গিয়েছে শ্রমিকের কাজে। বাড়ি বলতে, দরমার বেড়া আর অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া একটা ঘর। পাশেই থাকে গরু। মধু বলেন, “সরকারি ঘরের তালিকায় নাম থাকলেও টাকা পাইনি। আগে খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘর ছিল। সামান্য কয়েক হাজার টাকা জমিয়ে অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দিয়েছি কয়েক বছর হল।” স্ত্রী সঙ্গীতা বলেন, “গরু একটাই, তবে গোয়াল তৈরির টাকা নেই। তাই ঘরের একটা অংশে ওকে ঠাঁই দিয়েছি।”

গোবিন্দ, মধুদের মতোই ভাঙাচোরা ঘরে কোনও রকমে দিন কাটছে টিনপাড়ায় আরও অনেক পরিবারের। তাঁরা জানান, ঠান্ডা বাড়লে কষ্ট আর বাড়ে তাঁদের। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। কবে মিলবে টাকা, সেই আশাতে বসে সকলে।

হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও দেবদাস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পরিবারগুলির জন্য কী করা যায়, তা নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করব।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

PMAY Hingalganj

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।