—প্রতীকী চিত্র।
খালের জলে উপুড় হওয়া অবস্থায় ভাসছে এক ব্যক্তির দেহ। মৃতের দু’টি হাতই বাঁধা! রবিবার সকালে খড়দহে এমন দৃশ্য দেখে চমকে উঠেছিলেন পথচলতি লোকজন। প্রথমে না হলেও পরে জানা যায়, ওই যুবক স্থানীয় বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত যুবকের নাম সুরজিৎ চন্দ্র (২৭)। তাঁর বাড়ি খড়দহের বন্দিপুর লাল-ইটখোলা এলাকায়। এ দিন সকালে খড়দহের সাহাপাড়ার পানশিলা খালে একটি দেহ ভাসতে দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেখা যায়, খালের ধারে ছোট একটি গাছের সঙ্গে ওই যুবকের হাত বাঁধা রয়েছে। খবর পেয়ে যায় রহড়া থানার পুলিশ। আবার, সোদপুর থেকেও একটি পরিবার আসে তাদের নিখোঁজ ছেলের খোঁজে। তবে পুলিশ দেহটি উদ্ধারের পরেই মুখ দেখে সুরজিৎকে শনাক্ত করেন স্থানীয়েরা।
জানা যাচ্ছে, রহড়া-বাবুঘাট রুটের ৭৮/১ নম্বর বাস চালাতেন সুরজিৎ। গত শুক্রবার তিনি কাজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোন। তার পরে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিজনেরা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, গত দু’দিন ধরে বাসও চালাননি সুরজিৎ। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও তাঁর হদিস মেলেনি। ফোনও বন্ধ ছিল সুরজিতের। তবে পরিবারের তরফে পুলিশে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
সূত্রের খবর, যুবকের চোখের পাশে ক্ষত ও রক্তের দাগ ছিল। তবে তাঁর হাতে দড়ি বাঁধা কেন, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীদের অনুমান, হতে পারে কেউ বা কারা ওই যুবককে মেরে খালের জলে ফেলার সময়ে হাত বেঁধে দিয়েছিল। যাতে দেহ ভেসে অন্যত্র চলে না যায়। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তার কথায়, ‘‘মৃতদেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy