প্রতীকী ছবি।
নব্বই শতাংশ নম্বর না পাওয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে অপমান। তার জেরে আত্মঘাতী ওই ছাত্রী। এমনই অভিযোগ উঠেছে বেলঘরিয়ায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বেলঘরিয়ার অভিজাত এলাকা ক্লাবটাউনের বাসিন্দা শুভজিৎ মুখোপাধ্যায়। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার তাঁর ১১ বছরের মেয়ে সৃজার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজেদের আবাসনে মায়ের শাড়ি গলায় দিয়ে আত্মহত্যা করে সৃজা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। সৃজার বাবা শুভজিতের দাবি, ‘‘সময়ে খাতা জমা দিতে না পারা, সময়ে অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত না হতে পারা এবং নম্বর কম পাওয়া এই তিনটি ঘটনা পর পর ঘটেছিল।’’ আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘‘বাড়িতে নেটের সংযোগ ভাল ছিল না। ও ৪০-এর মধ্যে ৩১ পেয়েছিল। তখন বলেছিল, ‘আমার দ্বারা আর হবে না। আমি ৯০ শতাংশ পেলাম না।’ আমরা স্কুলে যন্ত্র তৈরি করছি। আমাদের কারও প্রতি কোনও অভিযোগ নেই।’’
সৃজার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে বেলঘরিয়ার এমএম রোডের আবাসনে। শুভজিতের প্রতিবেশী শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, পুরো সিস্টেমই দায়ী। স্কুলে এই নেটভিত্তিক পড়াশোনায় নানা সমস্যা। নেট সংযোগ না হলে উপস্থিতি হল না। উপস্থিতি না হলে পরীক্ষা দিতে পারবে না। এর সুরাহা হওয়া দরকার। অভিভাবকদেরও সন্তানদের জন্য জন্য সময় বার করতে হবে। শিশুদের উপর যেন চাপ না প্রয়োগ করা হয়। ওরা অসহায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy