প্রতীকী ছবি।
যুব তৃণমূল নেতাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগকে কেন্দ্র করে ক্যানিংয়ের ইটাখোলা পঞ্চায়েত এলাকায় ফের ঝামেলায় জড়াল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। ঘটনায় পাঁচজন তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন রাতে দক্ষিণ বুদোখালি গ্রামে গ্রামবাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুলাল মণ্ডল ও পার্বতী কয়াল নামে দু’জনকে ধরেন। যুব তৃণমূলের অভিযোগ, তারা এলাকার তৃণমূল নেতা খতিব সর্দারের অনুগামী। যুব তৃণমূল নেতা ইন্দ্রজিৎ সর্দারকে খুনের জন্য দীপঙ্কর মণ্ডল নামে এক দুষ্কৃতীকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। দীপঙ্করের সঙ্গেই কয়েকজন গ্রামে ঢুকেছিল। গ্রামবাসীদের হাতে ওই দু’জন ধরা পড়লেও দীপঙ্কর-সহ বাকিরা পালিয়ে যায়। অভিযুক্তদের মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা।
এই ঘটনার পরে রবিবার সকালে নতুন করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি অনিল গায়েনের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে যুব তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অনিল গায়েন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়। অনিল-সহ পাঁচজন আহত হন। তাঁদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইটখোলা পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি খতিব বলেন, ‘‘শনিবার রাতে আমাদের দুই কর্মীকে মারধর করে তাঁদের হাতে বন্দুক ধরিয়ে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। রবিবার সকালে আমাদের দলের বুথ সভাপতির বাড়িতে চড়াও হয়ে ইন্দ্রজিৎ ও তাঁর লোকেরা মারধর করে। যুব তৃণমূলের জার্সি পড়ে বিজেপি ও আরএসএসের হয়ে কাজ করছেন ইন্দ্রজিৎ। আর বেছে বেছে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করছেন।”
ইন্দ্রজিৎ পাল্টা বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে এই এলাকার যুব তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে যুব কর্মীদের। শনিবার রাতে আমাকে খুনের জন্য দুষ্কৃতী পাঠিয়েছিল খতিব। গ্রামের লোকেরা তাদের মধ্যে দু’জনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। দুষ্কৃতীদের কাণ্ডকারখানার প্রতিবাদে এ দিন সকালে গ্রামবাসীরাই তৃণমূল নেতার বাড়িতে চড়াও হন। এর পিছনে যুব তৃণমূলের হাত নেই।” দিন চারেক আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী ক্যানিংয়ে দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করে গোষ্ঠীকোন্দল মেটানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু দলীয় নেতৃত্বের কথা যে দলের নীচের তোলার নেতাদের কানে ঢুকছে না, তা আরও একবার প্রমাণ হল এ দিনের ঘটনায়। এ বিষয়ে দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফোন ধরেননি তিনি। উত্তর দেননি এসএমএসেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy