—প্রতীকী চিত্র।
বস্তির দখলদারি নিয়ে দু’পক্ষের গোলমালে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গড়িয়া স্টেশন চত্বর। শনিবার ওই এলাকার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে এক পক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনায় বাপি হাজরা, সফিকুল শেখ ও প্রতাপ মিশ্র নামে তিন যুবক গুরুতর জখম হন। তাঁদের বাইপাসের ধারের নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আরও কয়েক জন। ঘটনায় রাতে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে জলপোল নামে এক বস্তির দখলদারি ঘিরে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। এক পক্ষ অর্থাৎ বাপি, সফিকুলেরা স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি পিন্টু দেবনাথের ঘনিষ্ঠ। অভিযোগ, তারাই কিছু দিন আগে অমিত হালদার নামে অপর পক্ষের এক যুবককে মারধর করে। এর বদলা নিতে এ দিন দলীয় কার্যালয়ে হামলা চলে। সেখানে বাপিরা ছাড়াও বেশ কিছু মহিলা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। হামলা ঠেকাতে তাঁরা দরজা বন্ধ করে দিয়ে বাধা দেন। অভিযোগ, তবু দরজা ভেঙে ঢুকে সেখানে তাণ্ডব চালায় অভিযুক্তেরা। খবর পেয়ে পুলিশ আসে।
ঘটনার সময়ে সেখানে ছিলেন না পিন্টু। পরে বলেন, “জলপোল বস্তিতে অনৈতিক কাজকর্ম চলে। আমাদের ছেলেরা প্রতিবাদ করায় মারধর করা হয়। অমিত ও আরও অনেকে ওখানে ছিল। এরা এক সময়ে বিজেপি করত। পরে তৃণমূলে আসে। কিন্তু অনৈতিক কাজে যুক্ত বলে ওদের দলীয় কার্যালয় থেকে বার করে দিয়েছিলাম।” অভিযুক্ত অমিত বলেন, “এই বস্তির জমি বিক্রি করতে চাইছিল ওরা। পুরপ্রতিনিধির মদতও ছিল। তারই প্রতিবাদ করায় মাস দেড়েক আগে আমায় মারধর করা হয়। পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি। তাই ক্ষুব্ধ পাড়ার লোকজন ওদের উপরে চড়াও হন।” সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম বলেন, “পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। দোষীরা শাস্তি পাবে।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy