Advertisement
E-Paper

স্থায়ী উপাচার্যের দাবিতে রাজ্যপাল, শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছে ১৪টি শিক্ষক সংগঠন

রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে সরব হল ১৪টি শিক্ষক সংগঠন। দ্রুত সমাধান না হলে আগামী দিনে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলি।

photo of CV Ananda Bose and Bratya Basu

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ ২১:০২
Share
Save

রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে এ বার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি দিচ্ছে ১৪টি শিক্ষক সংগঠন। ওই সংগঠনগুলির মধ্যে রয়েছে যাদবপুর, কলকাতা, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনও। সোমবার কলকাতার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে ন’দফা দাবি জানিয়েছে তারা। দ্রুত সমাধান না হলে আগামী দিনে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। আগামী ১ অগস্ট রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছে তারা।

রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জটিলতা চলছে শিক্ষাঙ্গনে। এর মধ্যে ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল বোস। কিন্তু রাজ্যপালের এই নিয়োগে সায় ছিল না রাজ্যের। শিক্ষা দফতরের তরফে দাবি করা হয়, রাজ্যপাল রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ না করেই উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন। ‘একতরফা’ নিয়োগের অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। গত ৫ জুন রাজ্যপালের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলা দায়ের করেন এক অধ্যাপক। ওই মামলায় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত বৈধ।

এই আবহে ‘বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও, শিক্ষক বাঁচাও’ স্লোগান নিয়ে ন’দফা দাবি তুলে ধরে সরব হয়েছে ওই শিক্ষক সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। রাজ্যপাল যাঁদের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, তাঁরা সেই ভূমিকা পালন করতে পারছেন না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্যও নেই। সেখানে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু হচ্ছে, ফলে স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল এবং শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। উপাচার্য নিয়োগের জন্য যে অধ্যাদেশ পাশ করানো হয়েছিল, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও প্রতিনিধি নেই, যা ইউজিসি-র (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) নীতির পরিপন্থী বলে সরব হয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। অন্য দিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের যাতে কাজ করানো না হয়, সেই দাবিও জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলি।

স্থায়ী উপাচার্য নিয়ে সোমবার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যেরা। তাঁদের মতে, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিষয়ে যে বিল পাশ হয়েছিল, তাকেই মান্যতা দেওয়া উচিত। রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী আচার্যের ভূমিকা পালন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক জটিলতা কমে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

VC university

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।