জলসম্পদ দফতরের কর্মীরা নিজ উদ্যোগী অবসরকালীন সুবিধা পেতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। ফাইল চিত্র
অবসরের পর সহজে পেনশন পেতে কর্মীরা নিজেরই প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন সহকর্মীদের। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমন সত্যিই ঘটছে। অবসরের পর পেনশন পেতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’-এর। এখানেই বিভিন্ন দফতরের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু এ বার রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরের কর্মীরাই উদ্যোগী হয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করলেন। রাজ্যের প্রতিটি সার্কল-এ এই কাজের জন্য সুপারিন্টেডিং ইঞ্জিনিয়ারদের ‘মাস্টার ট্রেনার’ মনোনীত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতর তিন স্তরে বিভক্ত-- সচিবালয়, নির্দেশনালয় ও আঞ্চলিক দফতর। সচিবালয় স্তর শীর্ষ আধিকারিকদের দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় অবসরের পর পেনশন পেতে কোনও অসুবিধা হয় না। কিন্তু বাকি দু'টি ক্ষেত্র, নির্দেশনালয় ও আঞ্চলিক দফতরের কর্মীদের অবসরের পর পেনশন-সহ অবসরকালীন নানা সুযোগ সুবিধা পেতে অনেক ঝুক্কি পোহাতে হয়। এমন পরিস্থিতি দুর করতে নিজেরাই উদ্যোগী হয়েছেন দফতরের কর্মীরা। জলসম্পদ দফতরের এক কর্মীর কথায়, চাকরি জীবননের শেষে অবসরপ্রাপ্তদের কাছে পেনশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেষ জীবনে বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু, পেনশন পেতে গিয়ে বহু ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই অবসর জীবনে কর্মীদের হয়রানি কাটাতে এই ধরনের প্রশিক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ওই দফতরে প্রায় ৩০০ জন কর্মী রয়েছেন রাজ্য জুড়ে। প্রত্যন্ত জেলায় নিয়োগ হওয়া কর্মীরা অবসরের সময় এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন বলেই দাবি করেছেন দফতরের এক কর্তা। তাই দফতরের কর্মীদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি ফেডারেশনের মেন্টর মনোজ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘নিয়মানুযায়ী অবসরের দিন থেকেই পেনশন চালুর কথা। কিন্তু বেশির ভাগ সময়েই তা হয় না। একজন সরকারি কর্মচারী যাতে ঠিক ভাবে পেনশন পান, তার জন্য দফতরের ভুমিকা ও দায়িত্ব যথেষ্টই। তাই দফতরের কর্মীরা যে ভাবে নিজেরাই উদ্যোগী হয়েছেন, তাকে প্রশংসা করতেই হয়।’’ এই প্রশিক্ষণের ফলে অবসরের পর ওই দফতরের কর্মীদের হয়রানি কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, একজন সরকারি কর্মচারী যদি অবসরের পর যাতে সঠিক সময়ে পেনশন পান, তার পিছনে তাঁর নিজের দফতরেরই যথেষ্ট দায়িত্ব থাকে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি দফতর থেকে সঠিক সময়ে পেনশন সংক্রান্ত নির্ভুল ফাইল তৈরি করা হলেও, তা ঢিলেমির কারণে যথাযথ জায়গায় পাঠানো হয় না। আর তাতেই অবসরের পর বছরের পর বছর ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হতে হয় সরকারি কর্মচারীদের। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের যাইল রক্ষণাবেক্ষণের কাজ যেমন শেখানো হচ্ছে, তেমনই কাজটি যাতে সহজে এবং যথা সম্ভব কম সময়ে সম্পন্ন করা যায়, সেই কৌশলগুলিও শেখানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy