Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

শিল্প আগে নাকি শিল্পী, উঠছে প্রশ্ন

আপন মনে সৃষ্টিতে মজে শিল্পী। এতটাই মগ্ন যে বেশভূষার দিকে ন্যূনতম খেয়ালটুকুও নেই! সে দিন এক কিশোর ছুটে গিয়ে দাদুর পরনের কাপড়টা ঠিক করে দিয়েছিলেন। দু’জনেই ভারত বিখ্যাত শিল্পী।

শিল্পীর হাতের ছোয়ায় প্রাণ পেয়েছে পুতুল। ঘূর্ণিতে সুদীপ ভট্টাচার্যের তোলা ছবি।

শিল্পীর হাতের ছোয়ায় প্রাণ পেয়েছে পুতুল। ঘূর্ণিতে সুদীপ ভট্টাচার্যের তোলা ছবি।

সুস্মিত হালদার
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৫ ০২:১০
Share: Save:

আপন মনে সৃষ্টিতে মজে শিল্পী। এতটাই মগ্ন যে বেশভূষার দিকে ন্যূনতম খেয়ালটুকুও নেই! সে দিন এক কিশোর ছুটে গিয়ে দাদুর পরনের কাপড়টা ঠিক করে দিয়েছিলেন। দু’জনেই ভারত বিখ্যাত শিল্পী।

নাতির নাম বীরেন পাল। ঘূর্ণির রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী সে দিন যাঁর কাপড় ঠিক করে দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন বক্রেশ্বর পাল। বিশ্ব-বরেণ্য শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও শেষ জীবনে চরম অভাবের মধ্যে দিন কেটেছে তাঁর। কার্যত বিনা চিকিৎসায় মরতে হয়েছে তাঁকে। একই পরিণতি হয়েছিল‌ তাঁর প্রিয় শিষ্য বীরেন পালের। বছর কয়েক আগে বিনা চিকিৎসায় একই ভাবে মৃত্যু হয় বীরেনবাবুর। বীরেনবাবুই একদিন প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘শিল্পই যদি বেঁচে না থাকে তা হলে শিল্পীর বেঁচে থেকে লাভ কি?’’ শেষের দিকে ঘূর্ণি শিল্পকর্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি নিজেই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠতেন। বলতেন, ‘‘শিল্পীদের পরিণতিই হচ্ছে অভাব-দারিদ্র। তাঁরা শিল্প সৃষ্টি করার জন্যই বেঁচে থাকেন। এর বাইরে অন্য কিছু শিল্পীর লক্ষ্য হলেই শিল্পের মৃত্যু হতে বাধ্য।’’

তিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের মতোই ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ সৃষ্টি করে গিয়েছেন একের পর মনোমুগ্ধকর শিল্পকর্ম। কিন্তু সেই সঙ্গে উসকে দিয়ে গিয়েছিলেন চিরন্তন বিতর্ককে। বর্তমান প্রজন্মের সকলেই কিন্তু এ কথা মেনে নিতে রাজি নন। তাঁদের অনেকেরই মত, ‘‘শিল্পীই যদি বেঁচে না থাকেন, তা হলে শিল্প বাঁচবে কি করে?’’ তাঁরা তুলে ধরেন একের পর এক উদাহরণ। আগের প্রজন্মের শিল্পীদের অভাবের সঙ্গে লড়তে দেখে তাঁদেরই পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম আর এই পেশায় আসতে চাইছে না! আর যাঁরা আসছেন তাঁরা শিল্পটাকে ভাল না বেসে দ্রুত কিছু করে কম্মে খাওয়ার জন্য আসছেন, এমনটাই বলছেন অনেকে। তাতে আপস করতে হচ্ছে শিল্পের মানের সঙ্গে। অনেকেই আক্ষেপের সঙ্গে বলছেন, ‘‘যদি বাপ-ঠাকুর্দারা একটু হলেও অর্থের দিকে তাকাতেন তা হলে হয়তো এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। শিল্প-গুণও অক্ষুণ্ণ থাকার সম্ভাবনা তৈরি হত।’’

আর এক শ্রেণির শিল্পী কিন্তু এখনই হাল ছাড়তে নারাজ। তাঁরা বীরেনবাবুর কথার পুনরাবৃত্তি করে আসছেন। তাঁদের মত, শিল্পীরা শিল্প সৃষ্টির পরিবর্তে অর্থের পিছনেই বেশি ছুটছে বলেই শিল্পের মান কমছে। তাদের মন এখন শিল্পের থেকেও অর্থের দিকে বেশি। ওরা এখন নিজের মনের দিকে তাকিয়ে নয়, শিল্প সৃষ্টি করছেন ক্রেতাদের চাহিদার দিকে তাকিয়ে।

সব মিলিয়ে ঘূর্ণি কী তাঁর পৃথিবী বিখ্যাত নিজস্ব শিল্পরীতি থেকে ক্রমশ সরে যাচ্ছে? উত্তর হাতড়াচ্ছেন সকলেই।

কিন্তু কী সেই শিল্পরীতি?

সকলেই মানেন, কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির শিল্পের বিশেষত্ব হল তার সূক্ষতা। ট্র্যাডিশানাল ডল’ বা বাস্তবমুখী শিল্পকর্মের উপরে এখানকার শিল্পীদের হাতের কাজ মুগ্ধ করেছে আসমুদ্রহিমাচল। তাঁদের শিল্পকর্ম এতটাই সূক্ষ ছিল যে একটা তিন ইঞ্চির পুতুলের হাতের শিরা বা চোখের মণিও স্পষ্ট ভাবে তাঁরা ফুটিয়ে তুলতে পারতেন। কামার, কুমোর, ছুতোর কিংবা সাঁওতাল নারী-পুরুষের মূর্তি তারা গড়তেন অবলীলায়। মনে হত যেন এখনই তারা কথা বলে উঠবে। বলা হত ঘূর্ণির শিল্পীদের হাতে পড়লে মাটিও নাকি কথা বলে।

শ্রীরাম পাল, যদুনাথ পাল, চন্দ্রভূষণ পাল, রাখালদাস পাল, নরেন্দ্রনাথ পাল, মতিলাল পাল, গোপালচন্দ্র পাল, গোপেশ্বর পাল, বক্রেশ্বর পাল, নিবারণ পাল, চারুচন্দ্র পালদের হাত ধরে এখানকার শিল্পের পরিচিতি ঘটেছিল বিদেশেও। প্যারিস, লন্ডন, মেলবোর্ন থেকেও তাঁরা প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এঁদের বিখ্যাত সব কাজের বিষয় হল চা বাগিচা, বিয়ের শোভাযাত্রা, জমিদারেরে কাছারি, রথযাত্রা, চড়ক উৎসব, নবদ্বীপের পণ্ডিত সভার মতো বিষয়বস্তু। এঁদের মধ্যে অবশ্য আবার গোপেশ্বর পাল ঘূর্ণি ছেড়ে কুমারটুলিতে গিয়ে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে এক নতুন ঘরানা সৃষ্টি করেন।

এখানেই কিন্তু থেমে থাকলেন না ঘূর্ণির শিল্পীরা।

নরেশ পালের পাশাপাশি এই শিল্পের গৌরবময় ইতিহাসে নিজেদের প্রতিষ্ঠা দিলেন কার্তিক পাল, বীরেন পাল, গণেশ পাল, মুক্তি পাল, শম্ভু পালেরা। বিখ্যাত শিল্পী নরেন্দ্রনাথ পালের দুই ছেলে বীরেন পাল ও গণেশ পালও পেলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কর। এঁদের পরবর্তী প্রজন্ম গৌতম পাল, মৃগাঙ্গ পাল, সুবীর পাল, তড়িৎ পাল, বিপ্লব পালেরা বহন করছেন সেই ধারা। এঁদের মধ্যে বীরেন পালের ছেলে সুবীর পাল ও গণেশ পালের ছেলে তনিৎ পাল পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার। দিল্লির আর্ট মিউজিয়ামে রাখা সুবীর পালের হাতে তৈরি হাটের দৃশ্য দেখে থমকে দাঁড়িয়েছিলেন মিশেল ওবামা! মুগ্ধ হয়ে চেয়েছিলেন বেশ কিছু সময়। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে খোঁজ নিয়েছিলেন শিল্পীরও।

সেই শিল্পরীতিরই আজ অস্তিত্ব সঙ্কটে?

ঘূর্ণির মৃৎশিল্পের অবস্থা যে ভাল নয় তা মেনেছেন সকলেই। যখন শিল্পের গৌরব ছিল, বিশ্বজোড়া খ্যাতি ছিল তখন কিন্তু চরম অভাবের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে শিল্পীদের। আজ? বেশ কিছু শিল্পীর ঘরে পয়সা আসছে। অনেকে গাড়ি-বাড়িও করেছেন। কিন্তু শিল্প? সুবীর, তড়িৎ, বিপ্লব, সঞ্জয়, মৃগাঙ্গ, গৌতম পালদের পর? অনেকেই জানালেন, না! তেমন কোনও নাম আর খুঁজে পাওয়া যায় না। ভিতরে ভিতরে শুরু হয়েছে অস্তিত্বের লড়াই। কেন এমনটা হল? শিল্পীরাই জানাচ্ছেন, পুতুলপট্টির শিল্পীদের দারিদ্র এর অন্যতম কারণ। এই প্রজন্ম আর শিল্পকে ভালবেসে দারিদ্রকে বরণ করে নিতে রাজি নয়। তাঁরা অন্য পেশায় গিয়ে ভাল ভাবে বাঁচতে চান।

পুতুলপট্টির এক তরুণ শিল্পীর কথায়, ‘‘এই চাওয়ার মধ্যে কোনও অন্যায় দেখি না। শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার দায় কি কেবল আমাদের! কেন আমরাই শুধু প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে শিল্পের জন্য দারিদ্রকে বরণ করে নেব? কেন সমাজের অন্যেরা এগিয়ে আসবে না? কেন সরকারও উদাসীন থাকবে?’’ ঘূর্ণির পুতুলপট্টিতে গিয়ে খোঁজ খবর করলেই বোঝা যাবে এই প্রশ্ন শুধু ওই তরুণ শিল্পীর একার নয়। এই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে এখানকার শিল্পীদের অনেকেরই মনে। কুমারটুলির মতো প্রচার ঘূর্ণির নেই। কলকাতার সঙ্গে ভৌগোলিক দূরত্ব, শিল্পের মান অনুযায়ী ক্রেতাদের দাম দেওয়ার অনীহা, বেশির ভাগ ক্রেতারই কম দামের শিল্প সামগ্রীর কেনার প্রতি ঝোঁক— এই সবই শিল্পের সঙ্কটের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অনেকেই।

শিল্পীদের কথায়, ঘূর্ণির শিল্প যেহেতু সূক্ষতার উপরে নির্ভরশীল তাই এখানকার শিল্পীদের ছোটো ছোটো পুতুল তৈরি করতেও বহু সময় লেগে যায়। সেই হিসাবে উৎকৃষ্ট মানের একটা পুতুল তৈরি করার পরে তার যা দাম দাঁড়ায় সেই দাম দিয়ে কেনার মানসিকতা বেশির ভাগ ক্রেতার নেই। ফলে বর্তমান প্রজন্ম সে পথে না গিয়ে ক্রেতাদের চাহিদা মতো শিল্প সামগ্রী তৈরি করছেন। তাতে শিল্পের মান কমছে। কিন্তু তাতে কিছুটা বিক্রি বাড়ছে। আর এরই ফলে শ্রীরাম পাল, বক্রেশ্বর পালদের ঘূর্ণিতে শুরু হয়ে গিয়েছে ছাঁচের ব্যবহার। আর বড় বড় শিল্পীদের শো-রুম থেকে সেই সব কাজই বিক্রি হচ্ছে দেদার। অথচ তাঁরই হাতে তৈরি অতি উৎকৃষ্ট মানের শিল্প সামগ্রী পড়ে থাকছে উপযুক্ত ক্রেতার অভাবে।

‘‘আসলে ক্রেতাদের মানসিকতাতেও পরিবর্তন এসেছে’’— বলছিলেন এই প্রজন্মের অন্যতম প্রতিভাধর শিল্পী সুবীর পাল। তাঁর কথা, ‘‘একটা শিল্পসম্মত পুতুল বানাতে যে পরিমাণ পরিশ্রম ও সময় লাগে তাতে পুতুলের দাম অনেকটাই বেশি পড়ে যায়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্রেতাই সেই দামে পুতুল কিনতে রাজি নয়। তাঁরা চান কম দামের পুতুল। ফলে সেই চাহিদা মেনে কম সময়ে, কম পরিশ্রমে পুতুল তৈরি করছেন শিল্পীরা। তাতে যে কাজটা তৈরি হচ্ছে তার মান দাঁড়াচ্ছে নিম্ন বা মাঝারি মানের। আর দিনের পর দিন সেই কাজ করতে করতে অনেকেই উন্নত মানের সূক্ষ কাজ করার দক্ষতা হারিয়ে ফেলছেন।’’

এতে হয়তো শিল্পীরা কিছুটা হলেও অর্থের মুখ দেখছেন, বেঁচে থাকছেন। কিন্তু মারা পড়ছে শিল্প। আর এখানে এসেই বীরেনবাবুর সেই কথাটাই আবার নতুন করে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু‌ করেছে, ‘‘শিল্প না শিল্পী? কে বাঁচবে?’’ প্রশ্ন উঠছে, ‘‘একটা বেঁচে না থাকলে কি অন্যটার বেঁচে থাকা আদৌ সম্ভব?’’

তা হলে এর থেকে মুক্তির পথ কী? প্রশ্নটা তুলছেন নতুন প্রজন্মের শিল্পীরাই। অনেকেই বলা শুরু করে দিয়েছেন, শিল্পে বৈচিত্র আনতে হবে। চিরাচরিত বাস্তবমুখী শিল্প সৃষ্টি থেকে সরে আসতে হবে। মানুষ বৈচিত্র চাইছেন। আর সেটারই বড় অভাব রয়েছে। শিল্পী বিপ্লব পাল বলেন, ‘‘পরিবর্তন একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আর সেটা শিল্প সৃষ্টির ক্ষেত্রেও সমান ভাবে সত্যি। এই সত্যিটা মেনে নিতে হবে।’’

এই পুতুলপট্টির বেশির ভাগ শিল্পীই এই উপলব্ধির সঙ্গে সহমত হলেন না। তাঁদের কথায়, ‘‘তা হলে তো ঘূর্ণির পুতুলপট্টি নিজস্বতা হারিয়ে ফেলবে। হারাবে পরিচয়। তা হলে?’’ আর এখানে এসে কিছুটা থমকে গেলেও এর থেকে বের হওয়ার নতুন পথ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করছেন পরিবর্তনপন্থীরা। তাঁদের কথায়, ‘‘যে কাজই করি না কেন দেখতে হবে মানটা যেন বজায় থাকে। আর তাই পুতুলপট্টির অনেক বিখ্যাত শিল্পীই প্রতিমা তৈরি করা শুরু করেছেন।’’ সেই প্রতিমার মান, শিল্পগুণ, সূক্ষতা প্রতিমা শিল্পকে এক অন্য মাত্র দান করছে।

কেউ আবার ঝুঁকছেন স্থাপত্য শিল্পের দিকে। এদের মধ্যে অগ্রণী গৌতম পাল তাঁর স্থাপত্য শিল্পের মাধ্যমে বিদেশের মাটিতেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি স্থাপত্য সৃষ্টিতেও নাম ছড়িয়েছে সুবীর পালের। তড়িৎ পাল তার নিজের মতো করে তৈরি করে নিয়েছেন নতুন ঘরানা।

তারপরে?

ঘূর্ণির শিল্পীদের বিরুদ্ধে প্রধানত অভিযোগ হল তাঁরা নাকি গণ্ডির বাইরে কাউকে শেখাতে চান না। ফলে এই শিল্প কোনও দিনই তেমন ভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। ঘূর্ণি পুতুলপট্টির সঙ্কটের এটাও একটা বড় দিক বলে অনেকে মনে করেন। যদিও এই অভিযোগ মানতে রাজি নন এখানকার শিল্পীরা। তাঁদের পাল্টা যুক্তি, যাঁরা বাইরে থেকে আসেন তাঁদের বেশিরভাগই শিল্পের টানে আসেন না। বেশির ভাগই কয়েক দিন কাজ শেখার পরে নিজেদের মতো করে ব্যবসা শুরু করে দেন। এক শিল্পীর কথায়, ‘‘তাঁরা আসলে কাজ শিখতে আসে না। আসে পয়সা কামাতে।’’

প্রবাদপ্রতিম শিল্পী বীরেন পাল, গণেশ পালেরা বলতেন, ‘‘আসলে শিল্প থাকে মনের ভিতরে। সেটা সাধনার বিষয়। বহু সাধনার পরে সেটা আয়ত্তে আসে।’’ সেটারই অভাব দেখা দিচ্ছে পুতুলপট্টিতে? রোগের বীজটা কি ছড়িয়ে আছে সেখানেই?

সরকারের তরফে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখাতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ, বিশ্ববাংলায় পুতুল বিক্রি, দুঃস্থ শিল্পীদের ঋণ দেওয়া সর্বোপরি ঘূর্ণিতে শিল্পীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে হাট। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। যা শুনে কাজে মগ্ন এক প্রবীণ শিল্পী বলে ওঠেন, ‘‘হবে কী করে? মন কই মন? ওটাই তো নেই। এখনকার কাজগুলো সব কেমন সব পুতুল পুতুল বলে মনে হয়। এখন আর ওরা কথা বলে না। তাকায়ও না!’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy