মৃত্যুর ওপারে কী রয়েছে? স্বর্গ, নরক না অন্য কিছু? দীর্ঘ দিন সেই প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেকেই দাবি করেন, তাঁরা বেঁচে থাকতেই মৃত্যুর অভিজ্ঞতা করেছেন। কেউ কেউ আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে স্বর্গ বা নরক থেকে ঘুরে আসার দাবিও করেছেন। তবে এ সব দাবির ঊর্ধ্বে গিয়ে অন্য এক দাবি করেছেন প্যাম রেনল্ডস লোরি নামে এক মহিলা। আমেরিকার জর্জিয়ার বাসিন্দা ওই মহিলার দাবি, অস্ত্রোপচারের পরে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। আর তার পরেই মৃত্যু পরবর্তী অসাধারণ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন তিনি। যদিও পরে আবার জীবন ফিরে পান।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৫ বছর বয়সে প্যামের মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। জটিল সেই অস্ত্রোপচারে শক্তিশালী অ্যানেস্থেশিয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু অ্যানেস্থেশিয়ার পরেই নাকি তাঁর শরীরের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছিল। চোখ বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। পৃথিবী ছেড়ে চলেও যান। প্রযুক্তিগত ভাবে মৃত হওয়া সত্ত্বেও, তাঁর চার পাশে যা কিছু ঘটছিল সবই বুঝতে পারেন তিনি। সঞ্চয় করেন ‘অদ্ভুত’ অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন:
প্যামের দাবি, ‘মৃত্যু’র পরে তাঁর চার পাশের সব কিছু পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। এবং সেই অভিজ্ঞতা এতই অসাধারণ ছিল যে, পৃথিবীতে ফিরে আসার কোনও ইচ্ছাই তাঁর ছিল না। কিন্তু শেষমেশ অনিচ্ছা সত্ত্বেও পৃথিবীতে ফিরে আসতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু কী ছিল তাঁর অভিজ্ঞতা?
আরও পড়ুন:
‘ন্যাশনাল পাবলিক রেডিয়ো (এনপিআর)’-র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্যাম জানান, মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে করা চিকিৎসকদের আলোচনা শুনতে পান তিনি। মাথার খুলিতে ছিদ্র করতে দেখেন চিকিৎসকদের। এমনকি, ঠাকুমা এবং কাকার আত্মার সঙ্গে কথাও বলেন। এর পর তিনি ফিরে আসতে না চাইলেও চিকিৎসকেরা তাঁকে পুনরুজ্জীবিত করেন বলেও তাঁর দাবি।
আরও পড়ুন:
প্যামের সেই সব দাবি শুনে সমাজমাধ্যম জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। অনেকেই মজার মজার মন্তব্য করতে শুরু করেছেন বিষয়টি নিয়ে। কেউ কেউ দাবি করেছেন, অ্যানেস্থেশিয়ার কারণেই প্যামের ও রকম অনুভূতি হয়েছিল। আবার কারও দাবি, উল্টোপাল্টা কথা বলে নিজের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন মহিলা।