পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য জীবন থেকে টুথপেস্ট, শ্যাম্পু, সাবান পরিত্যাগ করেছেন। এমনকি, ছেড়ে দিয়েছেন সুগন্ধি মাখাও। তবে তার জন্য তাঁর স্বাস্থ্য বা সৌন্দর্যে কোনও প্রভাব পড়েনি। এক মহিলার এমনই এক দাবি ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মিরর’-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই খবর।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪১ বছর বয়সি ওই মহিলার নাম ব্রিটনি ব্ল্যান্ড। প্রাক্তন স্বাস্থ্যকর্মী তিনি। ব্রিটনির দাবি, বছর দু’য়েক আগে বাজারজাত সাবান, টুথপেস্ট, শ্যাম্পু এবং সুগন্ধির মতো পণ্য ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস, জীবনযাত্রায় ওই পরিবর্তন আনার কারণে তিনি বর্তমানে আরও স্বাস্থ্যবতী এবং সুখী রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
ব্রিটনি জানিয়েছেন, ১৭ বছর বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। পরে তিন সন্তানের জন্ম দেন। প্রাক্তন স্বাস্থ্যকর্মীর দাবি, সংসার এবং কাজের চাপে ধীরে ধীরে তাঁর শরীর ভেঙে যেতে শুরু করে। ২০১৫ সালে তাঁর ওজন উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায়। দু’বার অস্ত্রোপচারও হয় তাঁর। এর পর শরীর আরও খারাপ হয়ে যায়। দুর্বল হতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন:
২০২৩ সালে ব্রিটনি একটি বিশেষ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, ক্লান্তি এবং চলাফেরার সমস্যার কারণে তিনি বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা খুঁজে বার করতে শুরু করেন। ঠিক করেন জীবনযাত্রাতেও পরিবর্তন আনবেন। ব্রিটনি জানিয়েছেন, এর পরেই তিনি বাজারে বিক্রি হওয়া সাবান-শ্যাম্পু ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তার বদলে ভেষজ পদ্ধতিতে বাড়িতেই ওই জিনিসগুলির বিকল্প তৈরি করা শুরু করেন। বাড়িতেই তৈরি করে ফেলেন টুথপেস্ট এবং সুগন্ধি। ব্রিটনির দাবি, নিজের তৈরি সাবান-শ্যাম্পু ব্যবহার শুরু করার পর তাঁর জীবনে আমূল পরিবর্তন আসে। ওই জিনিসগুলি ব্যবহারের পর তিনি আগের থেকে বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে শুরু করেছেন, সুস্থও হয়েছেন।
ব্রিটনির খবর সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে। নেটাগরিকদের অনেকেই তাঁর ওই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। তবে ব্রিটনির দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে প্রশ্নও তুলেছেন নেটাগরিকদের অনেকে।