রাতে ঘরের ভিতরে ঘুমোচ্ছিলেন তরুণ। তাঁকে ১০ বার দংশন করল বিষাক্ত সাপ। ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হল ২৫ বছর বয়সি ওই তরুণের! শুধু তা-ই নয়, সকাল পর্যন্ত সাপটি কুণ্ডলী পাকিয়ে তরুণের বিছানাতেই বসে ছিল বলে খবর। উত্তরপ্রদেশের মেরঠ জেলার একটি গ্রামে রবিবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, যে সাপের কামড়ে তরুণের মৃত্যু হয়েছে সেটি গোখরো এবং তরুণের মৃত্যু হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁর শরীরে একাধিক বার ছোবল মারে সাপটি। গোটা বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহত ওই তরুণের নাম অমিত কশ্যপ। তিনি মেরঠের বাহসুমা থানা এলাকার আকবরপুর সাদাত গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় শ্রমিক এবং তিন সন্তানের বাবা অমিত শনিবার রাত ১০টা নাগাদ কাজ থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। খাবার খেয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।
সংবাদমাধ্যম ‘নবভারত টাইমস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বিষাক্ত সাপটি রাতে এক বার বা দু’বার নয়, দশ বার ছোবল বসিয়েছিল অমিতের শরীরে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রবিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ যখন অমিতের পরিবার তাঁর দেহ আবিষ্কার করে, তখনও সাপটি অমিতের হাতে আটকে ছিল। মৃত্যুর পরেও তাঁর শরীরে বিষদাঁত বসাচ্ছিল। সেই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে পরিবারের সদস্যেরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে পরিবারেরর এক সদস্য বলেন, ‘‘সাধারণত অমিত খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে। রবিবার সকালে ও ঘুম থেকে ওঠেনি দেখে ডাকতে যাওয়া হয়। তার কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এর পর সাপটি নজরে পড়ে। অমিতের হাতে কুণ্ডলী পাকিয়ে বসেছিল সাপটি। তখনও কামড়াচ্ছিল।’’ ওই আত্মীয় আরও জানিয়েছেন, পরিবারের সকলে পৌঁছোনোর পরও সাপটি অমিতের শরীরের পাশেই ছিল। এর পর তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ পাশের গ্রাম থেকে এক জন সাপুড়েকে নিয়ে আসে। সাপটিকে বন্দি করেন ওই সাপুড়ে। এর পরেই অমিতকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ‘আজ তক’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অমিতের শরীরে ১০টি কামড়ের দাগ দেখতে পেয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে অমিত ঘুমের মধ্যেই মারা গিয়েছেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:
তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। আইন মেনে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।