Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Menu Card of Titanic

প্রকাশ্যে টাইটানিকের মেনু কার্ড! ‘অভিশপ্ত’ জাহাজের বিভিন্ন শ্রেণির যাত্রীরা কী খেয়েছিলেন?

মেনুকার্ডগুলিও দেখার মত। তাতে দেখা যাচ্ছে জাহাজের ফার্স্ট ক্লাস বা প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য রয়েছে ঢালাও খাবারের আয়োজন। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির খাবারের মেনুতে অবশ্য ক্রমশ বাহুল্য কমেছে।

Titanic

১১১ বছর আগে টাইটানিকে কোন শ্রেণির যাত্রীদের জন্য কী কী খাবার বরাদ্দ ছিল, তার বিশদ বিবরণ দেওয়া মেনু কার্ড প্রকাশ্যে এল। ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৩ ২৩:৪০
Share: Save:

বিলাসবহুল জাহাজ টাইটানিক ডুবেছিল যাত্রা শুরুর পঞ্চম দিনে। তার আগে এই জাহাজের যাত্রীদের কী দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছিল? ১১১ বছর আগে এই জাহাজে কোন শ্রেণির যাত্রীদের জন্য কী কী খাবার বরাদ্দ ছিল, তার বিশদ বিবরণ দেওয়া মেনু কার্ড প্রকাশ্যে এল।

দ্য টেস্ট অ্যাটলাস নামে একটি সংস্থা তাদের ইনস্টাগ্রাম এর পাতায় সেই মেনু কার্ডের ছবি দিয়েছে। সেই সঙ্গে দিয়েছে টাইটানিকের খাবার ঘরের বেশ কয়েকটি ছবিও। মেনুকার্ডগুলির কোনওটা টাইটানিক দুর্ঘটনার আগের দিনের, কোনওটি আবার জাহাজ রওনা হবার পরের দিনেরই। ছবি গুলিতে দেখা যাচ্ছে ফাঁকা খাবার ঘর। আবার কোনওটিতে খাবার টেবিলে বসে থাকতেও দেখা যাচ্ছে যাত্রীদের।

মেনুকার্ডগুলিও দেখার মত। তাতে দেখা যাচ্ছে জাহাজের ফার্স্ট ক্লাস বা প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য রয়েছে ঢালাও খাবারের আয়োজন। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির খাদ্যতালিকায় অবশ্য ক্রমশ বাহুল্য কমেছে। প্রথম শ্রেণির প্রাতরাশের কুকি, মাছের ফিলে দিয়ে বিভিন্ন পদ বা ডাম্পলিংস তৃতীয় শ্রেণিতে বদলে গিয়েছে ওটমিল আর দুধে। এমন অনেক বদলই চোখে পড়ার মত। আর তা নজর কেড়েছেও। সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে টাইটানিকের মেনু কার্ডের ওই পোস্ট। আনন্দবাজার অনলাইন অবশ্য এই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি।

টাইটানিক ডুবেছে ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল। অর্থাৎ ১১১ বছর আগে। অথচ এখনও তাকে ঘিরে আগ্রহের শেষ নেই। নাম শুনলেই কৌতূহল দানা বাঁধে। এই পোস্টটি ঘিরেও তাই আগ্রহ বেড়েছে।

মেনু কার্ডে দেখা যাচ্ছে প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এলাহি মেনু। ব্রিল, কর্নড বিফ, সব্জি, ডাম্পলিংস, গ্রিলড মটন, কাস্টার্ড পুডিং, চিংড়ি, নরওয়েজিয়ান অ্যাঙ্কোভিস এবং বিভিন্ন ধরনের চিজের খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির প্রাতঃরাশ এবং রাতের খাবার ছিল সীমিত। সেখানে শুধুমাত্র ওটমিল পরিজ এবং দুধ, স্মোকড হেরিংস, জ্যাকেট আলু, হ্যাম এবং ডিম, ব্রেড ও মাখন, মার্মালেড এবং সুইডিশ রুটি ছিল।

ওই পোস্ট জানা গিয়েছে আরও একটি তথ্য। টাইটানিকে পরিবেশন করা শেষ খাবারের নাম কী ছিল, তা জানিয়ে টেস্ট অ্যাটলাস লিখেছে, শেষ খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল দ্বিতীয় শ্রেণিতে। ১৫ এপ্রিল রাতে শেষ পাতে প্লাম পুডিং খেয়েছিলেন দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রীরা। এই পদটিকে ক্রিসমাস পুডিংও বলা হয়। উল্লেখ্য, সেই রাতে আটলান্টিকে তলিয়ে গিয়েছিলেন যে ২২৪০ জন টাইটানিকের যাত্রী, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন এই দ্বিতীয় শ্রেণির।

সূত্রের খবর, শেষ লাঞ্চ এর মেনু কার্ডকে সম্প্রতি তোলা হচ্ছে নিলামেও। আশা, পঞ্চাশ হাজার থেকে সত্তর হাজার ডলার পর্যন্ত দাম উঠতে পারে এই মেনু কার্ডের।

অন্য বিষয়গুলি:

Titanic Menu Card
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy