—প্রতীকী ছবি।
বাড়ির সামনে বহু দিন ধরে গাড়ি দাঁড় করানো রয়েছে। ঘর থেকে বেশ কয়েক দিন ধরে প্রতিবেশীরা বার হতেও দেখেননি বৃদ্ধকে। বিপদ আন্দাজ করে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন অ্যাটাপোল চ্যারোয়েনপিটোকের প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পুলিশকর্মীরা দেখেন, ঘরের চারদিকে ময়লা ছড়িয়ে রয়েছে। এ দিক-ও দিক পড়ে রয়েছে কুকুরের মলমূত্র। একটি ঘরে ঢুকে তাঁদের নজরে পড়ে, ১০ থেকে ১৫টি কুকুর এক জায়গায় জড়ো হয়ে রয়েছে। কাছে যেতেই একটি মৃতদেহ দেখতে পান পুলিশকর্মীরা। সেই দেহটিকে ঘিরেই ঘোরাফেরা করছিল কুকুরগুলি। পরীক্ষা করে তাঁরা দেখেন, দেহটি অ্যাটাপোলের। তাইল্যান্ডের ক্লোং সাম ইয়া জেলার বাসিন্দা তিনি।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, ৩০টি কুকুর পুষতেন অ্যাটাপোল। তাঁর দীর্ঘ দিনের ‘সঙ্গী’ ছিল উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবিটিস। শারীরিক অসুস্থতার কারণে হঠাৎ মারা যান তিনি। বহু দিন মৃত অবস্থায় পোষ্যদের সঙ্গে ঘরবন্দি হয়ে ছিলেন তিনি। শনিবার পুলিশ তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করলে দেখা যায়, দেহের বাঁ দিকের পা খুবলে খাওয়া।
স্থানীয় পশুকল্যাণ সমিতির তরফে একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, অ্যাটাপোল মারা যাওয়ার পর কুকুরগুলিকে খেতে দেওয়ার কেউ ছিলেন না। খিদের চোটে তাই মালিকের পা চিবিয়ে খেতে শুরু করে তারা। তবে অনাহারে দু’টি কুকুর মারা গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন পশুকল্যাণ সমিতির এক সদস্য। বাকি ২৮টি পোষ্যকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy