—প্রতীকী ছবি।
নৈশভোজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ব্যাঙ্ককনিবাসী মহিলা অরম অরুণরোজ। রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে সব্জি কাটছিলেন তিনি। এমন সময় ঊরুতে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন। চিৎকার করে নীচের দিকে তাকাতেই শিউরে ওঠেন অরম। দেখেন, তাঁর পায়ে কামড় বসিয়েছে একটি বিশালাকৃতি অজগর। তাঁকে পেঁচিয়ে আস্তে আস্তে শরীর বেয়ে উপরের দিকে উঠে আসছে। এর পরেই অরম ভয়ে চিৎকার শুরু করেন। প্রায় দু’ঘণ্টা পর তাঁকে এসে পুলিশ যখন উদ্ধার করে, তখন তিনি মৃতপ্রায়। দু’ঘণ্টা ধরেই তাঁর শরীর পেঁচিয়েই রেখেছিল প্রায় ১৬ ফুটের ওই ভয়ঙ্কর অজগর।
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর সমাজমাধ্যমে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। সুস্থ হয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথাও ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। তাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম তাইরাথকে অরম বলেছেন, ‘‘গত মঙ্গলবার আমি কাজ করছিলাম রান্নাঘরে। হঠাৎই যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠি। দেখি একটি অজগর আমাকে কামড়েছে। আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে। অজগরটির ওজন প্রায় ২০ কিলো ছিল।’’
অরম আরও জানিয়েছেন, কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে না দেখে তিনি নিজেই অজগরটির মাথা চেপে ধরেন। কিন্তু সাপটিও প্যাঁচের জোর আরও বাড়াতে থাকে। রান্নাঘর থেকেই আবারও প্রাণপণে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর এক প্রতিবেশী তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন। হাড়হিম করা দৃশ্য দেখে খবর দেন পুলিশ এবং বনবিভাগে। এর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অরমকে উদ্ধার করে। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলা প্রায় দু’ঘণ্টা সাপের খপ্পরে ছিলেন তিনি।
স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন তখন অরম প্রায় অর্ধমৃত। তার শরীর দরজার দিকে ঝুঁকে গিয়েছিল। তাঁকে ক্লান্ত এবং ফ্যাকাশে দেখাচ্ছিল। এর পর সাপের কবল থেকে মুক্ত করা হয় অরমকে।
উল্লেখ্য, তাইল্যান্ডে অজগরের হামলার ঘটনা নতুন নয়। তাইল্যান্ডে ‘রেটিকুলেটেড পাইথন’ নামে একটি অজগর দেখতে পাওয়া যায়। যা সাধারণত ৫ থেকে ২১ ফুট পর্যন্ত হয়। তাইল্যান্ডে বিষাক্ত সাপের কামড়েও প্রতি বছর বহু মানুষের মৃত্যু হয়। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর বিষাক্ত সাপের কামড়ে সে দেশে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy