‘হনুমান ডট কম’ ছবিতে মাঙ্কি ক্যাপ পরিহিত প্রসেনজিৎ। ফাইল চিত্র।
বাঙালির সাধের ‘মাঙ্কি টুুপি’র দর বাড়ল। যে পশম শিরাবরণের জোরে বঙ্গজরা কলকাতা থেকে কাশ্মীর বা শীতের দিল্লি থেকে দার্জিলিং ডাঁটিয়ে ঘুরে বেড়ান এবং প্রাদেশিক হাসিঠাট্টার শিকার হয়েও হাতছাড়া করেন না, তা আপাতত সগর্বে শোভিত ডোলচে অ্যান্ড গাব্বানার অনলাইন শো-কেসে। দাম ৪০ হাজার টাকা। যা দেখে বাঙালি আবেগে ডুববে না কি গর্বে ফুলবে ভেবে পাচ্ছে না।
ডোলচে অ্যান্ড গাব্বানা বিশ্বমানের ফ্যাশন ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ডের জামা-জুতো-ঘড়ি পরেন তারকারা। সেই ব্র্যান্ডের অনলাইন স্টোরে হনুমান টুপি দেখে যত না অবাক হয়েছেন বাঙালিরা, তার চেয়েও বেশি বিস্ময় জেগেছে টুপির দাম দেখে।অনলাইন স্টোরে টুপির নীচে লেখা, আসল দাম ভারতীয় মুদ্রায় ৪০ হাজার টাকা। তবে ছাড় দিয়ে তা পাওয়া যাচ্ছে ৩১ হাজার ৯৯০ টাকায়। এককালীন এই অর্থ দিতে অসুবিধা হলে ক্রেতা প্রতি মাসে ১৭৭৮ টাকা ইএমআই দিয়েও কিনতে পারেন ডোলচে অ্যান্ডা গাব্বানার ‘মাঙ্কি ক্যাপ’।
দার্জিলিংয়ের ভুটিয়াবাজারে বাঙালিরা দরদাম করে মাঙ্কি ক্যাপ কেনে ৮০ টাকায়। সেই মাঙ্কি ক্যাপ ভাল দোকানে দামি হয়। দর বেড়ে ঠেকে ৩০০-৪০০ টাকায়। অনলাইনে নাম বদলে ৭০০-৮০০ টাকার হনুমান টুপিও পাওয়া যায় অন্যত্র। কিন্তু ৪০ হাজারি মাঙ্কি ক্যাপ দেখে এই প্রথম চোখ সার্থক করল বাঙালি।
যদিও ডোলচে অ্যান্ড গাব্বানা টুপিটি মাঙ্কি ক্যাপ বা হনুমান টুপি হিসাবে বিক্রি করছে না। অবিকল হনুমান টুপির আদলের ওই টুপির একটি অন্য নাম দিয়েছে তারা— ‘খাকি স্কি মাস্ক ক্যাপ’। যা দেখে এক বাঙালি টুইটার ব্যবহারকারীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘স্কি ক্যাপ!! কচু পোড়া। এটা আমাদের মাঙ্কি টুপি, তার জন্য ৩২ হাজার টাকা? ওরে বাবা গো..’’।
টুইটারে ওই অনলাইন স্টোরের একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছিল। তাতে আর এক বাঙালিনী লিখেছেন, ‘‘আমি তো ৫০০ টাকায় ঠিক এ রকম দেখতে একটা টুপি হাতে বানিয়েও ফেলব, তা-ও তো আমি উল বুনতে পারি না।’’ এক বাঙালি যুবক অবশ্য হনুমান টুপির মাথায় বাঙালির চিরচেনা উলের বলটি নেই বলে দুঃখ করেছেন। জবাবে আর এক বঙ্গললনার মন্তব্য, ‘‘ওটার জন্য আরও ১০ হাজার লাগত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy