ছবি: সংগৃহীত।
ইংল্যান্ডে বসবাসের সুযোগ হারাতে চান না, ফিরতে চান না নিজের দেশেও। মরিয়া হয়ে বিনা বেতনেই চাকরির আবেদন জানালেন ভারতীয় তরুণী। লিঙ্কডইনে সম্প্রতি তরুণীর আবেদনের সেই পোস্টটি ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। ২০২১ সালে ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করতে যান শ্বেতা কোথান্ডন। ২০২২ সালে স্নাতক হওয়ার পর থেকেই তিনি চাকরির সন্ধান করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ভিসার সুবিধাযুক্ত চাকরির খোঁজ করছিলেন তিনি। প্রায় ৩০০টি চাকরির আবেদন করার পরও উপযুক্ত চাকরি মেলেনি শ্বেতার।
তাই তিনি হতাশ হয়ে সমাজমাধ্যম লিঙ্কডইনে একমাস বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করার পোস্টটি করেন। যাতে লেখা ছিল ‘দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার শেষ সুযোগ’। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন,তাঁর স্নাতক ভিসার মেয়াদ আর মাত্র তিন মাস, ইংল্যান্ডে তাঁকে থাকার সুযোগ করে দেওয়া হোক। নিজের পোস্টটি সকলকে ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। বহু চেষ্টা সত্ত্বেও চাকরি না পাওয়ার কারণে হতাশ শ্বেতা লিখেছেন, ‘‘২০২২ সালে স্নাতক হওয়ার পর থেকে, আমি অক্লান্ত ভাবে একটি ‘ভিসা-স্পনসর’ চাকরি খুঁজছি।’’ কিন্তু মনে হচ্ছে চাকরির বাজারে আমার শিক্ষা, যোগ্যতা ও ডিগ্রির মূল্য নেই। তিনি লিসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন।
নিয়োগকর্তাদের কাছে অনুরোধ করেছেন, তিনি বিনা বেতনে এক মাস কাজ করতে রাজি আছেন, কাজ পছন্দ না হলে তৎক্ষণাৎ তাঁকে ছাঁটাই করার জানিয়েছেন নিজেই। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে প্রতি দিন ১২ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৭ দিনই কাজ করতেও প্রস্তুত তিনি। তাঁর এই পোস্ট দেখে অনেকেই তাঁর সমালোচনা করেছেন। তাঁকে বিনা পারিশ্রমিকের কাজ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বেশ কয়েক জন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী। একজন পোস্টে লিখেছেন, ‘‘শুধু ইংল্যান্ডে থাকার জন্য এই ধরনের কাজ করার দরকার নেই। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন।’’ অন্য এক জন মন্তব্য করেছেন, ‘‘আপনি যদি বুদ্ধিমতি ও সক্ষম হন তবে আপনি বিশ্বের যে কোনও জায়গায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy