ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লির বিলাসবহুল হোটেলগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে বিশুদ্ধ বাতাস। সেই বিজ্ঞপ্তি জ্বলজ্বল করছে হোটেলের ভিতরের রাখা নোটিস বোর্ডে। সেই ঘোষণায় বলা হয়েছে দিল্লির বাতাসের মান খারাপ হলেও হোটেলের প্রতিটি ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ। হোটেলের প্রচার কৌশল স্বাভাবিকভাবেই নজর কেড়েছে সমাজমাধ্যমে। সম্প্রতি ভারতে এসেছিলেন আমেরিকার ধনকুবের ব্রায়ান জনসন। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্টটি করতেই এই নিয়ে চর্চা শুরু হয় সমাজমাধ্যমে ও সংবাদমাধ্যমে। তিনি হোটেলের সেই বিজ্ঞপ্তির ছবি তুলে পোস্ট করে লেখেন ‘‘হোটেলে পরিষেবাস্বরূপ বিশুদ্ধ বাতাস বিক্রি করা হচ্ছে।’’ বোর্ডে লেখা আছে হোটেলের অতিথিদের ঘরের গড় বাতাসের গুণমান ২.৪, কারণ প্রতিটি ঘরে বসানো হয়েছে এয়ার ফিল্টার। এছাড়াও নীচে উল্লেখ করা রয়েছে বিদেশের বড় শহরগুলির বাতাসের গুণমানও।
আমেরিকা প্রবাসী আর এক ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার ও বিনিয়োগকারী নিজের এক্স হ্যান্ডল থেকে আরও একটি বিলাসবহুল হোটেলের বাতাসের মান সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির একটি ছবি প্রকাশ করেন। সেই বোর্ডে লেখা ছিল তাদের অতিথিদের ঘরের বাতাসের মান ছিল ৫৮। সেই দিন শহরের বাতাসের গুণমানের সূচক (একিউআই) ছিল ৩৬৭ যা বেশ খারাপ বলেই ধরা হয়। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই দিল্লিতে বাতাসের গুণগত মান পড়তে শুরু করেছিল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচক উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে গিয়েছে। একাধিক কড়াকড়ি জারি করেও দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। সিপিসিবি তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণগত মানের সূচক যদি শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তা হলে তা ‘ভাল’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। ৫১-১০০ সন্তোষজনক, ১০১-২০০ সামান্য খারাপ, ২০১-৩০০ খারাপ, ৩০১-৪০০ খুব খারাপ, ৪০১-৫০০ অতি ভয়ানক। গত এক মাসে দিল্লির বাতাস খারাপ থেকে অতি ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy