গণপরিবহণে যাতায়াত করার সময় নিজেদের জিনিস আমরা আগলে আগলেই রাখি। পাছে সেটি চুরি হয়ে যায় এই ভয়ে। আবার কোনও শিশুকে নিয়ে যাতাযাত করার সময় তাঁর মা-বাবাও তাকে কাছছাড়া করতে চান না। কারণ সেই সন্তান তাঁদের ‘আদরের ধন’। সমাজমাধ্যমের পাতায় সম্প্রতি সেই রকমই এক ‘আদরের ধন’ বুকের মাঝে আগলে নিয়ে ট্রেনে চড়ে ‘স্বপ্নের জগতে’ পাড়ি দেওয়ার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এখানে বুকের মাঝে আগলে রাখা হয়েছে একটি বিড়ালছানাকে। আর যে আগলে রেখেছে, সে এক জন আট-দশ বছর বয়সি নাবালক। ভিডিয়োটি দেখে মনে হচ্ছে সেই বিড়ালছানাই নাবালকের সবথেকে অমূল্য সম্পদ। সেটিকে কোনও ভাবেই হারাতে দেওয়া যাবে না। মন ভাল করা সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে তা-ও সেই ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট ভাবে জানতে পারা যায়নি।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, চলন্ত ট্রেনের কামরায় দরজার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক আট-দশ বছর বয়সি বালক। সে এক হাত দিয়ে ধরে রেখেছে ট্রেনের দরজার হাতল, অপর হাত বুকের মাঝে ভাঁজ করে রাখা। সেই হাতের মধ্যে নাবালক জাপটে ধরে রেখেছে একটি পুচকে বিড়ালছানাকে। ট্রেনের পাশে ‘ছুটে চলা’ গাছগুলির দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রয়েছে নাবালকটি, নিরীহ মুখে লেগে রয়েছে নিষ্পাপ হাসি। দেখে মনে হচ্ছে, পুচকে মার্জারকে নিজের যাত্রাসঙ্গী হিসাবে পেয়ে সে বেজায় খুশি। বিড়ালটিরও নাবালকের কাছে কোনও বায়না নেই। সে চুপটি করে তার বুকের কাছে হাত-পা মেলে ঝুলে রয়েছে। সামনের একটি পায়ের ছোট্ট থাবা দিয়ে নাবালকের জামাটিকে ধরে রেখেছে বিড়ালটি, যাতে বেকায়দায় সে তার বন্ধুর থেকে দূরে না চলে যায়। মন ভাল করা সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
‘দেবস্মিতা.সামন্ত’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরালও হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রচুর নেটাগরিক ভিডিয়োটিতে লাইক ও কমেন্ট করেছেন। প্রায় দেড় লক্ষেরও বেশি নেটাগরিক ভিডিয়োটিতে ভালবাসা এঁকে দিয়েছেন। ভিডিয়োটির মন্তব্যবাক্সে নেটাগরিকেরা নানা মন ভাল করা মন্তব্য করেছেন।