ফুচকার জলে ভেসে বেড়াচ্ছে পোকা আর শ্যাওলা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে।
ফুচকার টক-জলে কিলবিল করছে পোকা! যা নজরে পড়তেই বিক্রেতার সঙ্গে রীতিমতো তর্ক জুড়েছেন এক মহিলা। সমাজমাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে তেমনই দু’টি ভিডিয়ো। পাশাপাশি রাস্তার ধারের খাবার কতটা স্বাস্থ্য সম্মত, তা নিয়ে উঠে গিয়েছে প্রশ্ন।
ফুচকাপ্রেমীদের মনে আতঙ্ক ধরানো প্রথম ভিডিয়োতে টক জলের মধ্যে স্পষ্ট কয়েকটি পোকাকে নড়তে দেখা গিয়েছে। দ্বিতীয় ভিডিয়োতে আবার জলের উপর ভেসে বেড়াচ্ছে শ্যাওলা। দেশের কোন প্রান্তে এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর ফুচকা বিক্রি হচ্ছে, তা অবশ্য জানা যায়নি। ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
চিকিৎসা জানিয়েছেন, ফুচকার স্বাদযুক্ত টক বা মিষ্টি জলে পোকা জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে। ফলে মুখরোচক এই খাবার বিক্রির সময় অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। ফুচকার জলে পোকা বা শ্যাওলা থাকলে জন্ডিস, টাইফয়েড ও ডায়েরিয়ার মতো জলবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা।
এ ছাড়া এই ধরনের ঘটনায় খাদ্যে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে প্রবল বলে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা। আর তাই ফুচকা বিক্রেতাদের একাংশ আমজনতার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলায়, তাঁদের দিকে আঙুল তুলেছেন নেটাগরিকরা।
ভাইরাল হওয়া ফুচকার জলের দু’টি ভিডিয়োই ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের চোখ টেনেছে। তাঁদের অধিকাংশই এ ব্যাপারে প্রশাসনিক কঠোর ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন। ভিডিয়োগুলির মন্তব্য বাক্সে একজন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘দেখে তো মনে হচ্ছে, নর্দমার জল ব্যবহার করা হয়েছে! অবশ্যই এর তদন্ত হওয়া উচিত।’’
সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের আরেকজন আমার ফুচকা বিক্রেতাদের লোভের দিকটা তুলে ধরেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এরা পেট চালাতে ফুচকা বিক্রির কথা বলে থাকে। আর ব্যবসায় নেমেই লোভের বশবর্তী হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জনের চেষ্টা করে।’’ অবিলম্বে ফুচকা বিক্রি বন্ধ করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy