অনলাইনে গাড়ি বুক করেছিলেন তরুণী। চালকও ‘গুগ্ল ম্যাপ’ দেখেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু তরুণী হঠাৎ চালকের সঙ্গে ঝগড়া করতে শুরু করেন। ম্যাপ অনুসরণ না করে তরুণীর কথামতো গাড়ি চালানোর নির্দেশ দিচ্ছিলেন তিনি। অন্য দিকে গাড়ির চালকও নাছোড়বান্দা। মাঝরাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তরুণীর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
আরও পড়ুন:
‘ঘর কে কলেশ’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে যে, ক্যাবচালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছে এক তরুণীর। ক্যাবের পিছনের আসনে বসে রয়েছেন তরুণী। তরুণী বার বার চালককে নির্দিষ্ট মোড় থেকে ডান দিকে গাড়ি ঘোরানোর নির্দেশ দিচ্ছিলেন। কিন্তু ম্যাপ দেখে চালক জানাচ্ছিলেন যে, ডান দিকের রাস্তায় গাড়ি ঘোরানোর অনুমতি নেই। তা নিয়ে তরুণী তর্ক করে চলায় ক্যাবচালক তাঁর ফোনের ক্যামেরা চালু করে ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করতে শুরু করেন। তাতে বিরক্ত হন তরুণী।
মাঝরাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ক্যাবচালক কেন তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। অন্য দিকে ক্যাবচালক বলেন, ‘‘আপনি গাড়ি বুক করেছেন। আমার দায়িত্ব আপনাকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া। আপনি চিন্তা করছেন কেন?’’ ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর সড়কে ঘটেছে। ভিডিয়োটি দেখে এক জন নেটব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘তাড়াহুড়োর জন্য ট্র্যাফিক নিয়মকানুন ভেঙে দেওয়ার কোনও অর্থ নেই। ক্যাবচালকদের পাশাপাশি যাত্রীদেরও এই বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।’’
কয়েক মাস আগে বিহার থেকে গোয়া যেতে গিয়ে এক পরিবার গাড়ি নিয়ে সোজা পৌঁছে গিয়েছিল কর্নাটকের গভীর অরণ্যে। কর্নাটকের বেলাগাভি জেলার খানাপুরের জঙ্গলে আটকে পড়ে গাড়িতেই গোটা রাত কাটাতে হয়েছিল তাদের। গুগ্ল নির্দেশিত সংক্ষিপ্ত রাস্তায় প্রবেশ করতেই বিপত্তি বেধেছিল। বনের ভিতরে প্রবেশ করার পর নেটওয়ার্কও হারিয়ে গিয়েছিল সকলের ফোনের। ফলে সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ভোর হওয়ার পর চার কিলোমিটার হেঁটে তাঁরা অবশেষে ফোনের নেটওয়ার্ক ফিরে পেয়েছিলেন। পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছিলেন তাঁরা। খবর পেয়ে জঙ্গল থেকে ওই পরিবারকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ।