—প্রতীকী ছবি।
প্রেমের জন্য একজন মানুষ কী কী করতে পারে? প্রেমিকার সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য প্রতি সপ্তাহে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি দিতে পারে কি ? অসম্ভব মনে হলেও এমনটা করেই তাক লাগিয়েছেন জু গুয়াংলি নামে এক চিনা তরুণ। চিনের শানডং প্রদেশে বাসিন্দা গুয়াংলি। কিন্তু পড়াশোনা করতেন অস্ট্রেলিয়ায়। মেলবোর্নের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন। কিন্তু প্রেমিকার সঙ্গে থাকবেন বলে প্রতি সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া থেকে চিন চলে যেতেন তিনি। সাপ্তাহিক প্রেমপর্ব সেরে আবার ফিরে যেতেন ক্লাস করতে। এক দিন ক্লাস করে ফের ফিরে যেতেন চিনে। আর শুধু এক দিন অস্ট্রেলিয়া যাতায়াত, খাওয়া খরচ বাবদ প্রায় এক লক্ষ টাকা প্রতি সপ্তাহে খরচ করতেন গুয়াংলি। গত তিন মাস ধরে এই একই রুটিনে চলছিলেন তিনি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুয়াংলির এই ঝটিকা সফরের সূত্রপাত অগস্ট মাস থেকে। তাঁর প্রেমিকাও আগে অস্ট্রেলিয়াতেই পড়াশোনা করতেন। তখন একসঙ্গে থাকার কোনও ঝক্কি ছিল না। কিন্তু মাসকয়েক আগেই গুয়াংলির প্রেমিকা পড়া শেষ করে চিনে ফিরে যান। দিন কয়েক আলাদা থাকার পর বিচ্ছেদ-বিরহে কাতর হয়ে ওঠেন তিনি। ঠিক করেন, প্রেমিকার কাছে চিনে ফিরে যাবেন। সাপ্তাহিক ক্লাস সপ্তাহে এক বার করে অস্ট্রেলিয়া এসেই তিনি করবেন। সেই মতোই অস্ট্রেলিয়ায় ভাড়াবাড়ি ছেড়ে আবার চিনে চলে যান গুয়াংলি। শুধু এক দিন ক্লাস করতে অস্ট্রেলিয়া যেতেন। তার পর থেকে তিন মাস ধরে এমনটাই চলেছিল। যদিও এখন তাঁর রুটিনে বদল এসেছে। অক্টোবরের শেষের দিকে পরীক্ষা দিয়ে পাকাপাকি ভাবে চিনে ফিরে গিয়েছেন।
প্রতি বার অস্ট্রেলিয়া সফর করতে মোট তিন দিন সময় লাগত গুয়াংলির। তাঁর যাত্রা শুরু হত সকাল সাতটায়। দেঝৌ থেকে বিমান ধরতে জিনান যেতেন তিনি। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া। ক্লাসের জন্য পরের দিন মেলবোর্নে পৌঁছতেন। রাত বন্ধুর বাড়ির সোফায় কাটিয়ে তৃতীয় দিনে বাড়ি ফিরে যেতেন। সময় কাটাতেন প্রেমিকার সঙ্গে। আর প্রতি সপ্তাহে চিন থেকে অস্ট্রেলিয়া যাতায়াতে তাঁর খরচ হত ৬৭০০ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮০ হাজার)। অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচা জুড়ে প্রতি সপ্তাহে ভারতীয় মুদ্রায় তা দাঁড়ায় প্রায় লক্ষ টাকা।
তাঁর এই প্রেমকাহিনি নিজেই শুনিয়েছেন গুয়াংলি। চিনা সংবাদমাধ্যম ডাজং ডেইলিকে তিনি বলেন, ‘‘গত আট বছর ধরে আমি মেলবোর্নে পড়াশোনা করছি। এটা আমার শেষ সেমিস্টার। ডিগ্রি শেষ করতে সপ্তাহে একটি মাত্র ক্লাসের প্রয়োজন ছিল। আমার বান্ধবী চিনে ফিরে আসার কারণে মেলবোর্নে আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম। আর সেখান থেকেই এই সিদ্ধান্ত।’’ তবে এত টাকা খরচ করে প্রেম চালিয়ে যাওয়া কি আদৌ বিবেচকের মতো কাজ? উত্তরে গুয়াংলি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘ভালবাসা এবং বাড়ির সুস্বাদু খাবারের কাছে এই খরচ কিছুই নয়।’’
গুয়াংলি তাঁর কাহিনি ভাগ করে নেওয়ার পরে সমাজমাধ্যমে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা হু-হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ১০ হাজার মানুষ তাঁকে ফলো করতে শুরু করেছেন। নেটাগরিকদের একাংশ তাঁকে ‘পাগল প্রেমিক’-এর তকমাও দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy