—প্রতীকী ছবি।
টানা কাজ করে যেতে হবে। মাঝে এক দিনও ছুটি নিতে পারবেন না। এমন শর্তেই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তরুণ। কিন্তু কাজের ধকল নিতে পারলেন না তিনি। তরুণের পরিবারের অভিযোগ, ১০৪ দিন কাজ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তরুণ। অসুস্থতার কারণে মারা যান তিনি। সংস্থার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করে তরুণের পরিবার। মৃত তরুণের নাম আবাও (৩০)।
ঘটনাটি চিনের জ়েজিয়াং প্রদেশের জ়ৌশান এলাকার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পেশায় শ্রমিক ছিলেন আবাও। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি এমন একটি চাকরি শুরু করেছিলেন, যেখানে টানা কাজ করার শর্ত ছিল। কাজের মাঝে কোনও ছুটি নেওয়া যাবে না এমনটাও জানানো হয়েছিল আবাওকে। সব শর্ত মেনেই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই কাজের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন আবাও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত কোনও ছুটি না নিয়ে টানা ১০৪ দিন কাজ করে গিয়েছিলেন আবাও। কাজের শর্তানুযায়ী, ৬ এপ্রিল ছুটি পেয়েছিলেন তিনি। এক দিনের ছুটির পর আবার টানা কাজ করতে শুরু করেন। অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে বাধ্য হয়ে ২৫ মে ছুটি নিতে হয় তাঁকে। কিন্তু আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ২৮ মে আবাওকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানান যে, ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে আবাওয়ের। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন ১ জুন মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকেরা জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এর ফলে ধীরে ধীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয় আবাওয়ের। সে কারণেই মারা যান তরুণ।
আবাওয়ের পরিবার সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যদিও সংস্থার দাবি, আবাও আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করাননি তিনি। এমনকি, আবাওকে দিয়ে অতিরিক্ত সময় কাজ করানোও হত না। তিনি নাকি স্বেচ্ছায় বেশি ক্ষণ কাজ করতেন। কিন্তু আদালত জানায়, আইন অনুযায়ী, চিনের প্রতিটি সংস্থার কর্মীরা সপ্তাহে মোট ৪৪ ঘণ্টা কাজ করেন। সেই হিসাব অনুযায়ী, আবাওয়ের টানা ১০৪ দিন কাজ করার পর এক দিনের ছুটি পাওয়ার কথা নয়।
আবাওয়ের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ভারতীয় মুদ্রায় ৪৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আবাওয়ের মৃত্যুর কারণে তাঁর পরিবারকে যে মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাতে হয়েছে, সে কারণে অতিরিক্ত এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy