ছবি: সংগৃহীত।
মহাকাশে বসে নতুন বছরের প্রথম দিনে ১৬টি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত চাক্ষুষ করলেন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস-সহ বাকি নভশ্চরেরা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রে (আইএসএস) বসে ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনে এই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন সুনীতা, বুচ উইলমার-সহ অন্য মহাকাশচারীরা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের এক্স হ্যান্ডল থেকে এই অভূতপূর্ব ঘটনার দৃশ্য পোস্ট করে জানানো হয়েছে, ২০২৪ শেষ হওয়ার সঙ্গে আইএসএস-এর ৭২ জন সদস্য নতুন বছরে আট জোড়া সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন। প্রায় আট মাস ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রে আটকে রয়েছেন সুনীতা ও বুচ। অন্যান্য উৎসব পালন করার মতো নতুন বছরও সেখানেই কাটালেন তাঁরা।
কী ভাবে সুনীতারা মহাকাশে বসে এক দিনে এতগুলি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পেলেন? এর ব্যাখ্যা দিয়েছে আইএসএস। পৃথিবী থেকে প্রায় ৪১৮ কিলোমিটার উপরে রয়েছে মহাকাশকেন্দ্রটি। এটি ঘণ্টায় প্রায় ২৮,১৬০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর চার দিকে ঘুরপাক খাচ্ছে। অঙ্কের হিসাবে প্রতি ৯০ মিনিটে পৃথিবীর চার দিকে এক বার করে ঘুরে আসছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটি। ফলে এক দিনে ১৬ বার পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে মহাকাশ স্টেশনটি। যে কারণে মহাকাশ স্টেশনে উপস্থিত নভোচারীরা দিনে ১৬ বার সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে পান। আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে বড়দিন উদ্যাপনে মেতেছিলেন সুনীতারা। মহাশূন্য থেকে পৃথিবীবাসীর উদ্দেশে শুভেচ্ছা জানান সুনীতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বুচ উইলমোর ও অন্য দুই সদস্য।
মহাকাশযান বোয়িং সিএসটি-১০০ স্টারলাইনার ক্যাপসুলে চড়ে গত ৫ জুন আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসার ওই দুই নভশ্চর পাড়ি দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে। বলা হয়েছিল, ফেব্রুয়ারি মাসে সুনীতা এবং বুচ উইলমোরকে নিয়ে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের মহাকাশযান পৃথিবীতে ফিরবে। কিন্তু তা হচ্ছে না। সুনীতাদের ফেরার দিন আরও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মার্চ মাসের আগে তাঁদের ফেরা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy