মা হতে ফর্সা পুরুষের শুক্রাণু ব্যবহার করেছিলেন আমেরিকার মহিলা। তিনি নিজেও ফর্সা। কিন্তু সন্তান কালো জন্ম হওয়ায় ফার্টিলিটি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মামলা করলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী আমেরিকার ওই মহিলার নাম ক্রিস্টেনা মারে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশ কয়েক বছর ধরেই সন্তান চাইছিলেন ৩৮ বছর বয়সি ক্রিস্টেনা। কিন্তু ইচ্ছাপূরণ কিছুতেই হচ্ছিল না। চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মার্কিন যুবতী। আইভিএফ (ইন ভিটরো ফার্টিলাইজেশন) পদ্ধতিতে সন্তানধারণের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এর জন্য পছন্দসই শুক্রাণুদাতাকেও বেছে নেন তিনি।
আরও পড়ুন:
কিন্তু সন্তান জন্মের পর ক্রিস্টেনা দেখেন, ওই সন্তান কৃষ্ণবর্ণের। বুঝতে পারেন, ফার্টিলিটি ক্লিনিকের ভুলে অন্য এক আফ্রিকান-আমেরিকান দম্পতির সন্তান তিনি গর্ভে ধারণ করেছিলেন। কোলের সন্তানকে তার জৈবিক বাবা-মার হাতেও তুলে দিতে হয় ক্রিস্টেনাকে। এর পরেই তিনি ওই ফার্টিলিটি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সংবাদমাধ্যমে ক্রিস্টেনা বলেন, ‘‘মা হয়ে আমি খুব খুশি ছিলাম। খুব সুন্দর সন্তান হয় আমার। কিন্তু সন্তানকে দেখে এ-ও বুঝতে পারি যে কিছু ভুল হয়েছে। কারণ আমি এবং আমার শুক্রাণুদাতা ফর্সা। কিন্তু সন্তান কৃষ্ণবর্ণের। স্পষ্টতই কিছু ভুল হয়েছিল। এর পরেই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মামলা করি।’’
আরও পড়ুন:
সন্তান জন্ম দেওয়ার পর জেনেটিক পরীক্ষাও করান ক্রিস্টেনা। পরীক্ষায় দেখা, ওই সন্তান গর্ভে ধারণ করলেও ক্রিস্টেনার জিন শিশুটির মধ্যে নেই। ক্রিস্টেনার কথায়, ‘‘সন্তান জিনগত ভাবে আমার নয়। ওর শরীরে আমার রক্ত নেই। ওর চোখ আমার মতো নয়। কিন্তু সে সবসময় আমার সন্তান ছিল এবং থাকবে। আসল বাবা-মার হাতে তুলে দিতে হলেও আমি কখনওই ওকে ভুলতে পারব না।’’
অন্য দিকে ওই ফার্টিলিটি ক্লিনিকের দাবি, ক্রিস্টেনার সঙ্গে যা হয়েছে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তাদের ক্লিনিকে অন্য কারও সঙ্গে এ রকম আগে কখনও হয়নি।