পাত্রপক্ষের দেওয়া লেহঙ্গা পুরনো। পাত্রীর জন্য আনা হয়েছে নকল গয়নাও। এই নিয়েই বর-কনের পরিবারের মধ্যে শুরু বাগ্যুদ্ধ। বিরোধ এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে এক পক্ষ তরবারি উঁচিয়ে হাজির হয় বলে অভিযোগ। এই কারণে হরিয়ানার পানীপতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ২৩ ফেব্রুয়ারির। অমৃতসর থেকে বর ও বরযাত্রীরা কনের বাড়ি এসে পৌঁছোনোর পরই গোলমালের শুরু। পাত্রীপক্ষের দাবি ছিল, পাত্রের পরিবারের তরফ থেকে পুরনো লেহঙ্গা ও নকল গয়না পাঠানো হয়েছে। কনের পরিবার বরপক্ষের পছন্দের লেহঙ্গা দেখে অসন্তুষ্ট হন এবং তাঁরা ৪০ হাজার টাকা দিয়ে নিজেদের কেনা বিয়ের পোশাক কনেকে পরানোর জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন।
সংবাদমাধ্যমে বরের ভাই জানিয়েছেন, বিয়ের জন্য অনুষ্ঠানবাড়ি ভাড়া করার জন্য কনেপক্ষকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা প্রথমে পাত্রীর জন্য ২০ হাজার টাকার লেহঙ্গা দাবি করেছিলেন। পরে নাকি আরও দামি লেহঙ্গা বেছে নিয়েছিলেন কনে। সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁরা কনের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছিলেন বলে জানান তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, কনের পরিবার বিয়ের আগে থেকেই তাঁদের উপর চাপ দিচ্ছিলেন। কনেপক্ষ পাঁচটি সোনার অলঙ্কার এবং দিল্লির চাঁদনি চক থেকে কেনা একটি লেহঙ্গাও দাবি করেছিলেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, বিয়ের দিন বরপক্ষের আনা পুরনো লেহঙ্গা এবং নকল গয়না দেখে কনের পরিবার হতবাক হয়ে যান। তাঁরা মালাবদলের জন্য মালাও আনেননি বলে অভিযোগ তোলেন পাত্রীপক্ষ। নানা বিষয় নিয়ে মতবিরোধ শুরু হওয়ায় বরের পরিবার আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঝগড়া শুরুর পর সেখানে এক জন ব্যক্তি তরবারি উঁচিয়ে এগিয়ে আসেন বলে জানা গিয়েছে। কনের মায়ের দাবি, তিনি মেয়ের লেহঙ্গার জন্য ১৩ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়েছিলেন। তবুও বরের পরিবার তাদের বিরুদ্ধে ১ লক্ষ টাকা দাবি করার মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। পাত্রপক্ষের আচরণে তিনি হতাশ হয়ে প্রশ্ন তোলেন, এমন একটি পরিবারে তাঁর মেয়ের ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারত?