পাত্রপক্ষের দাবি ছিল বিয়েতে ৬০০ জন আমন্ত্রিত অতিথির খাওয়ার খরচ দিতে হবে। কনের পরিবার সেই দাবি পূরণ করতে না পারায় বিয়ে ভেঙে দিল পাত্রপক্ষ। রেডিট সমাজমাধ্যমে এক তরুণ সম্প্রতি পোস্ট করে জানান তাঁর বোনের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল মে মাসে। পাত্র-পাত্রীর বাগ্দানও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। তাঁর পরিবার বিয়েতে আমন্ত্রিতদের খাওয়ার খরচ বহন করতে অক্ষম হওয়ায় সেই বিয়ে বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তরুণ। এই ঘটনার ফলে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তরুণের বোন এবং মা। তিনি লিখেছেন, ‘‘বিশেষ একটি ‘যৌতুকে’র দাবিতে আমার বোনের বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন পাত্রপক্ষ।’’
আরও পড়ুন:
তরুণ জানিয়েছেন, তাঁর বোনের বিয়ে ঠিক হয়েছিল এমন এক পরিবারে যাঁদের সঙ্গে আগে থেকেই আত্মীয়তার সূত্রে পরিচয় ছিল। প্রাথমিক ভাবে দুটি পরিবার একত্রে অতিথির খাবারের খরচ বহন করতে সম্মত হয়েছিল। বর এবং কনের পরিবারের আর্থিক অবস্থা সমান। কিন্তু বরপক্ষ হঠাৎ করে দাবি জানায়, কনের পরিবারকে সমস্ত অতিথির খরচ বহন করতে হবে। তরুণের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয় তাই তাঁরা এত টাকা খরচ করতে অক্ষম বলে লিখেছেন তিনি। কয়েক দিন আগে বরপক্ষকে তাঁরা অনুরোধ করেন। তা সত্ত্বেও পাত্রের পরিবার বিয়ে বাতিল করার কথা জানিয়ে দেয়। বিয়েতে টাকা খরচ করতে না পারাই এর কারণ বলে জানিয়েছে পাত্রপক্ষ। পাত্র নিজে ফোন করে জানান যে তিনি ৬০০ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করেছেন এবং যেহেতু কনের পরিবার তাঁদের খাবারের জন্য টাকা দিতে অস্বীকার করেছেন, তাই তাঁরা এই বিয়ে বাতিল করছেন।
তরুণের এই পোস্ট ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জমা পড়েছে সমাজমাধ্যমে। এক জন লিখেছেন, ‘‘বিবাহবিচ্ছেদের চেয়ে বিয়ের বাগ্দানের পর বিয়ে ভেঙে যাওয়া অনেক ভাল।’’ অন্য এক জন বলেছেন ‘‘এই ঝামেলা থেকে বেরিয়ে আসুন।’’ আর এক জন মন্তব্য করেছেন যে, ‘‘বিবাহ বাতিলের ফলে কোনও আইন লঙ্ঘিত হয়নি। এতে কোনও অপরাধ নেই। বিবাহ অনুষ্ঠানের ধরন এবং ব্যয় নিয়ে আপনার মতবিরোধ ছিল। যৌতুক প্রতিরোধ আইন অনুসারে এই খরচ যৌতুকের সংজ্ঞার আওতায় পড়ে না।’’