লাঠি হাতে এক তরুণীকে বেদম মারছেন তিন জন। সেই মার খেয়ে মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন তরুণী। চিৎকার করছেন তারস্বরে। সেই চিৎকারেও থামছেন না তরুণীর শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়েরা। উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ায় এক তরুণীকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। শুক্রবার এক্স সমাজমাধ্যমে এই ভয়াবহ ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই ঝড়ের গতিতে তা ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকই। ঘটনাটি ঘটেছে তারকুলওয়া থানার বারাইপট্টি গ্রামে। যদিও সেই ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, দুই ব্যক্তি এবং এক মহিলা ওই তরুণীকে নির্মম ভাবে মারধর করছেন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তরুণীকে লাঠিপেটা করছিলেন তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওর। মহিলাকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শোনা যায় ভিডিয়োয়। তবে কেউ তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেননি। সংবাদ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, মহিলার তাঁর স্বামীর সঙ্গে বিরোধ ছিল, সেই কারণে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে এই ভাবে মারধর করতে শুরু করেছিলেন। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে এক যুবক তরুণীর হাত ধরে রেখেছেন ও এক প্রৌঢ় ব্যক্তি তাঁকে লাঠি দিয়ে প্রহার করছেন । সেখানে উপস্থিত রয়েছেন এক প্রৌঢ়াও। তিনি তরুণীর চুল ধরে টানছেন। পরে দেখা গিয়েছে তরুণীর দেওরও একটি লাঠি এনে তাঁকে প্রহার করতে শুরু করেছেন ।
মারের হাত থেকে বাঁচতে তরুণী বাড়ির উঠোন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তরুণীর সঙ্গে দেওর ও শাশুড়ির ধস্তাধস্তির ফলে তাঁরা একটি গর্তের মধ্যে পড়ে যান। বাকি দু’জন সেখান থেকে উঠে সরে পড়লেও তরুণীকে গর্তের মধ্যেই লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন প্রৌঢ়। ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই তারকুলওয়া থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিয়ম অনুসারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে দেওরিয়া পুলিশের এক জন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে খবর।