প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীর মধ্যে হঠাৎ করেই শুরু হয় তীব্র বাদানুবাদ। সেই তর্কাতর্কি গড়ায় হাতাহাতি, চুলোচুলির পর্যায়ে। সেই লড়াইয়ে যোগ দেয় স্কুলের ছাত্রেরাও। দুই তরুণীকে মাটিতে শুয়ে একে অপরের উপর চেপে বসে চুল ধরে টানতে দেখা গিয়েছে। সেই শিক্ষিকা ও কর্মীর মধ্যে মারামারির দৃশ্যের একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। উত্তরপ্রদেশের মথুরার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। ভিডিয়ো দেখে হতবাক হয়েছে নেটাগরিকেরা। (যদিও সেই ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।)
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মহিলা শিক্ষিকা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী উভয়েই মাটিতে শুয়ে একে অপরের চুল টেনে ধরছেন। তাঁদের একে অপরকে চড় মারতে এবং লাথি মারতেও দেখা যাচ্ছে। দু’জনকে চুলোচুলি করতে দেখে স্কুলের ছোট বাচ্চারাও মারামারি করতে শুরু করে। এক ছাত্রকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে লাথিও মারতে দেখা গিয়েছে ওই ভিডিয়োয়। যখন দু’জনেই মাটিতে পড়ে একে অপরের চুল টেনে ধরে হাতাহাতি করছিলেন সেই সময় তৃতীয় মহিলা এসে তাঁদের থামানোরও চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে যায়। মারামারি এতটাই তীব্র আকার ধারণ করে যে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরিবার তাঁকে ফরিদাবাদের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করতে বাধ্য হয়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রীতি তিওয়ারি নামে পরিচিত সহকারী শিক্ষিকা সম্প্রতি জৌনপুর থেকে এই স্কুলে বদলি হয়েছিলেন। ২৬ মার্চ, বুধবার কোনও বিষয় নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী চন্দ্রাবতীর সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তর্ক শেষমেশ দ্রুত লড়াইয়ের রূপ নেয় এবং উভয়েই হাতাহাতি শুরু করেন। তাঁরা স্কুলের ভিতরেই মারামারি করতে শুরু করেন। ভিডিয়োয় এক ছাত্রকে তাঁদের এক জনকে লাথি মারতেও দেখা গিয়েছে। ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা শিক্ষাবিভাগের নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রীতিই প্রথম ঝগড়া শুরু করেছিলেন এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী চন্দ্রাবতীর উপর চড়াও হন তিনিই। প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে ওই শিক্ষিকার বিবাদে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা এই প্রথমনয়। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও একই রকম অভিযোগ রয়েছে।