গ্রামের যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছিল ভয়ঙ্কর এক প্রাণী। অনেক চেষ্টা করেও নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না তার। একটি বড়সড় চিতাবাঘ কর্নাটকের গ্রামে হানা দেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। কোনও ভাবেই চিতাবাঘটিকে ফাঁদে ফেলতে পারছিলেন না বন দফতরের কর্মী থেকে গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামেরই এক যুবকের অসম সাহসিকতার ফলে অবশেষে সেই হিংস্র প্রাণী ধরা পড়ল। খালি হাতে একাই এগিয়ে গিয়ে চিতাবাঘের লেজ ধরে তাকে বন্দি করলেন স্থানীয় ওই যুবক। সেই ভিডিয়োই ধরা পড়েছিল সমাজমাধ্যমের পাতায়। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের তুমকুরু জেলার একটি গ্রামে। সেই গ্রামে কয়েক দিন ধরেই উৎপাত চালাচ্ছিল বন্য প্রাণীটি। চিতাবাঘ হানা দিয়েছে গ্রামে, সেই খবর পৌঁছয় বনকর্মীদের কাছে। তাঁরা চিতাবাঘটিকে ফাঁদে ফেলার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেন।
আরও পড়ুন:
চিতাবাঘটিকে ফাঁদে ফেলার জন্য গ্রামে জড়ো হন বনকর্মীরা । সঙ্গে ছিলেন গ্রামবাসীরাও। সেখানেই ঘটে যায় এক অদ্ভুত ঘটনা। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। সমাজমাধ্যম এক্সে ‘অজয়কুমার৩১’ নামের হ্যান্ডল থেকে সেটি পোস্ট করা হয়েছে (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বনকর্মীরা এবং গ্রামবাসীদের একটি দল চিতাবাঘটিকে ধরার চেষ্টা করতে গেলেই সেটি বেরিয়ে এসে আক্রমণ করতে উদ্যত হয়। ঠিক সেই মুহূর্তেই আনন্দ নামের এক যুবক এগিয়ে গিয়ে খপ করে চিতাবাঘের লেজ ধরে সেটিকে কব্জা করে ফেলেন। অসীম সাহসের সঙ্গে প্রাণীটিকে ওই অবস্থায় ধরে রাখেন তিনি। এর পর চিতাটিকে জালবন্দি করতে ছুটে আসেন বন দফতরের কর্মীরা। তৎপরতার সঙ্গে সেটিকে ফাঁদে আটকে ফেলতে সমর্থ হন বনকর্মীরা।