ছবি: সংগৃহীত।
হোটেলের কামরায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ঠান্ডা হাওয়া উপভোগ করতে ব্যস্ত পুলিশ। সেই সুযোগে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থাতেই পগাড়পার হেফাজতে থাকা কয়েদি। এমনই এক অদ্ভুত ঘটনায় হইচই পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য ওড়িশায়। ওড়িশার গজপতি জেলার মোহনা এলাকার ঘটনা। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভাইরাল সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশি হেফাজত থেকে পলাতক ওই কয়েদির নাম জুয়াল শবর। গত ২৭ অক্টোবর গজপতি জেলার বাসিন্দা জুয়ালকে গাঁজা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল মহারাষ্ট্রের আকোলা থানার পুলিশ। জুয়ালকে গ্রেফতারের করে জেলাশাসকের সামনে হাজির করানো হয়। এর পর স্থানীয় পুলিশকে না জানিয়ে আরও তদন্তের জন্য জুয়ালকে নিয়ে গজপতি জেলার মোহনা এলাকায় পৌঁছয় আকোলা থানার পুলিশ। রাত ২টো নাগাদ মোহনা এলাকার একটি হোটেলে পৌঁছয় তদন্তকারী দল। কিন্তু সকালে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের চোখে ধুলো দিয়ে ওই হোটেল থেকে পালিয়ে যান জুয়াল। জুয়াল যখন পালিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তদন্তকারী দলের সদস্যেরা হোটেলের কামরায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের বাতাস উপভোগ করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেই সুযোগে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থাতেই চম্পট দেন জুয়াল। পুরো ঘটনাটি হোটেলের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেই ভিডিয়োই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জুয়ালকে আবার ধরতে আকোলা পুলিশ এবং মোহনা পুলিশ যৌথ ভাবে কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে। আশপাশের সব এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। মোহনা থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। কথায় আছে, চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। তবে এ ক্ষেত্রে ‘চোর’ পালালেও পুলিশের বুদ্ধি বেড়েছে কি না সে তথ্য পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy