হনিমুনের সুখস্বপ্ন বিভীষিকায় পরিণত হল এক দম্পতির। সদ্যবিবাহিত দুই দম্পতি ব্রাজিলের চিকিৎসক কাইও গোমেজ় এবং তাঁর স্ত্রী ফার্নান্দা দিনিজ মলদ্বীপে মধুচন্দ্রিমা করতে গিয়ে একটি ক্রুজ়ে চেপেছিলেন। সেই সমুদ্রযাত্রা শেষ পর্যন্ত এই ভাবে শেষ হবে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি দম্পতি। বিশাল এক ঢেউয়ের আঘাতে সেই ক্রুজ়টি উল্টে যায়। দুই দম্পতি-সহ আরও ৫৬ জন যাত্রী ও তিন জন কর্মী সমুদ্রে ঝাঁপাতে বাধ্য হন। সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট থাকলেও তা কাজ করেনি। সমুদ্রের জলে হাবুডুবু খেতে থাকেন দু’জনে। মাত্র একটি লাইফ জ্যাকেট ভাসতে দেখেন। সেই সবেধন জ্যাকেটটিকেই আঁকড়ে ধরেন দুজনে।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমুদ্রে যাত্রা শুরু হওয়ার ৪০ মিনিট পরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। ধিগুরা দ্বীপ থেকে রাজধানী মালেতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল যাত্রীদের। জাহাজটি আরও ২০ মিনিট ধরে চলার পর ধীরে ধীরে একপাশে হেলে পড়ে। জাহাজের কর্মীরা জাহাজটি ডুবে যাওয়ার বিষয়ে আগাম সতর্কতা জানাতে ব্যর্থ হন। তাঁদের কেবল লাইফ জ্যাকেট পরে সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান গোমেজ়। সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার পর নবদম্পতি লক্ষ্য করেন যে তাঁদের লাইফ জ্যাকেট ফুলে উঠছে না। হতাশ হয়ে তারা এলোমেলো ভাবে সাঁতার কাটতে থাকেন সমুদ্রে।
আরও পড়ুন:
হঠাৎই একটি মাত্র লাইফ জ্যাকেট দেখতে পান তারা। টাইটানিকের বিখ্যাত দৃশ্যের সঙ্গে গোমেজ় তাঁদের পরিস্থিতির তুলনা করে বলেন, ‘‘আমরা কোনওরকমে লাইফ জ্যাকেটটি ধরে রাখতে পেরেছিলাম এবং সেটি ধরেই ভেসে উঠেছিলাম। এটি আমাদের দু’জনকেই ধরে রেখেছিল বলে আমরা বেঁচে গিয়েছি।’’ দম্পতি ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ধরে এই ভাবে সমুদ্রে ভেসেছিলেন। অন্য একটি নৌকা তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বাকি যাত্রীদেরও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।