অস্থির বাংলাদেশ। আক্রান্ত সংখ্যালঘু। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে মমতার মুখে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিসেনার কথা। আর তা নিয়েই হইচই। মমতার এই বার্তা একেবারে কোট আন-কোট-সহ সংসদে পৌঁছে দেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সংসদে বক্তব্য রাখেন মথুরার বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনীও। একের পর এক ধর্মস্থল ভাঙচুর। ইসকনের উপর হামলা। মৌলবাদীদের হাতে আক্রান্ত সংখ্যালঘু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য এবং ভারতের অবস্থান নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বতী সরকারের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন বিবৃতি দেন। শান্তিসেনা পাঠানোর প্রস্তাবকে খানিক খোঁচা দিতে ছা়ড়েননি। মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেরলের কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। তা নিয়েও বিস্তর জল্পনা। ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে থেকেও কংগ্রেসের নিশানায় মমতা। অনেকে একে জোটের ফাটল হিসেবেও দেখছেন।
‘পিস কিপিং ফোর্স’ ইউনাইটেড নেশনের একটি বৃহৎ বাহিনী। বিশ্বে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা কায়েম করার লক্ষ্যে কাজ করে থাকে এই বাহিনী। সংঘর্ষ মোকাবিলা, নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং শান্তি স্থাপনই শান্তিসেনার মূল লক্ষ্য। বিশ্বের ১২৪টি দেশের মোট ৯১ হাজার ট্রুপ এবং পুলিশ শান্তিসেনার সঙ্গে কাজ করে। প্রতিকূল পরিবেশে যেখানে অন্যরা যেতে পারে না, সেখানেই পৌঁছে যায় শান্তিসেনা। স্রেফ সেনা অভিযানই নয়, শান্তিসেনা কাজ করে মানবাধিকার নিয়েও।
শান্তিসেনার তিনটি ঘোষিত নীতি রয়েছে। প্রথমত, কোনও দেশে শান্তিসেনা পাঠানোর আগে সংঘর্ষে জড়িত দুই পক্ষেরই অনুমতি প্রয়োজন হয়। স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা দিতে হয়। দ্বিতীয়ত,
শান্তিসেনা সব সময় নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে। যুযুধান দুই পক্ষের সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রাখাই শান্তিসেনার কাজ। আর তৃতীয়ত, রাষ্ট্রপুঞ্জের নেওয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর এবং নিজেদের প্রতিরক্ষা ছাড়া অন্য কোনও প্রয়োজনে বাহিনীকে ব্যবহার করা যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy