প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: অলোক
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত সিপিএম-ও? সরাসরি না বললেও ২০১৬-১৭ সালের ক্যাগ রিপোর্টকে সামনে রেখে বাম আমলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে কী ভাবে চাকরি পেলেন? ১৯৮৭ সালে মিলি চক্রবর্তীর নিয়োগের একটি কপি বৃহস্পতিবার টুইট করে প্রথম বিষয়টি নজরে এনেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ঠিক তার আধ ঘণ্টার মধ্যেই আদালত চত্বরে একই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। শুধু সুজন চক্রবর্তীই নন, ‘চাকরির সুপারিশ’ নিয়ে পার্থর নিশানায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষও। যদিও জেলবন্দি প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি ফুৎকারে উড়িয়েছেন সুজন-শুভেন্দু-দিলীপ তিন নেতাই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই একই বিষয়ে সরব হলেন ব্রাত্য বসুও। ২০০৯ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার স্কুল সার্ভিস কমিশনের যে পরীক্ষা নিয়েছিল, সেখানে ৪৬ হাজার প্রার্থীর নম্বরে গরমিলের কথা উল্লেখ রয়েছে ক্যাগ রিপোর্টে। এই তথ্য সামনে রেখেই নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘বুদ্ধ সরকার’কে তদন্তের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানালেন ব্রাত্য বসু।
সাংবাদিক বৈঠকে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরির ‘বৈধতা’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। কোন পরীক্ষা দিয়ে কলেজে চাকরি হল মিলি চক্রবর্তীর, প্রশ্ন ব্রাত্য বসুর। আগামী দিনে এই বিষয়ে রাজ্য সরকার কোনও স্বতন্ত্র তদন্ত করবে কিনা তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করা হবে। ইতিমধ্যেই বাম আমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি সংক্রান্ত নিয়োগের উপর একটি রিপোর্ট তৈরি করার কথা ভেবেছে শিক্ষা দফতর। সেই রিপোর্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা দেবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy