প্রতিবেদন: তীর্থঙ্কর
পূর্বের ঘোষণা মতোই বৃহস্পতিবার দুপুরে শিয়ালদহ ও হাওড়া থেকে শহিদ মিনারের উদ্দেশে দু’টি মিছিলে পা মেলালেন বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা। দুপুর ২টো নাগাদ মিছিল দু’টি ধর্মতলায় পৌঁছলে তীব্র যানজট তৈরি হয়। ধর্মতলা মোড়ে রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা, চলে স্লোগানিং। কিছু ক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ‘চুরি করেছে, চুরি করেছে আমার ডিএ সরকার’, বা ‘পুলিশ তোমার ডিএ বাকি, এই মিছিলে হাঁটবে নাকি?’ ইত্যাদি সরকারবিরোধী স্লোগান তোলেন মিছিলে অংশ নেওয়া সরকারি কর্মীরা।
এ দিন শহিদ মিনারের সামনের অবস্থানমঞ্চে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের সংগঠনের জোট সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। অবস্থানমঞ্চে এসে উপস্থিত হন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও মহম্মদ সেলিম, কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচী। আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। বুধবার রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে ডিএ-র দাবিতে অবস্থানরত সরকারি কর্মীদের কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এরা সব চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল, সেই চোর-ডাকাতগুলোই গিয়ে বসে আছে ডিএ-র মঞ্চে।” ধর্নার দ্বিতীয় দিনেও তিনি আক্রমণ শানান বিক্ষোভরত সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে। মমতা এ দিন বলেন, “এই দুরবস্থা নিয়েও ১০৬ শতাংশ ডিএ দিয়েছি। তার পরেও চাওয়া থামছে না? কথায় কথায় পেন ডাউন? জনগণের টাকা নিয়ে আপনারা কাজ বন্ধ করতে চাইছেন?’’ মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করা হয় সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফ থেকে। মমতার বক্তব্যের বিরোধিতা করেন বিরোধী দলের নেতারাও।
এ দিন বিভিন্ন জেলা থেকে সরকারি কর্মীরা গণছুটি নিয়ে যোগদান করেন মিছিল ও সমাবেশে। আগামী ৮ এপ্রিল দিল্লিতে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানির আগে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছেন বিক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy