দু’দিনের সফরে মণিপুর রওনা হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ ইম্ফল বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার গোষ্ঠীহিংসায় দীর্ণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্যে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। চূড়াচন্দ্রপুর, বিষ্ণুপুর ও ইম্ফলের বেশ কয়েকটি ঘরছাড়াদের শিবিরে যাওয়ার কথা তাঁর। কংগ্রেস সূত্রে খবর, শরণার্থী শিবির যাওয়ার পথে রাহুলের কনভয় আটকে দেয় মণিপুর পুলিশ। বিবদমান মেইতেই ও কুকি গোষ্ঠীর নাগরিক সমাজের সঙ্গে বৈঠকেও বসার কথা রাহুল গান্ধীর। কথা বলবেন নাগাদের নাগরিক সমাজের সঙ্গেও।
রাহুলের সফরের বিরোধিতা করে মণিপুর পেট্রিয়টিক পার্টি তাঁর উদ্দেশে খোলা চিঠি দিয়েছে। মেইতেই জনগোষ্ঠী প্রভাবিত বিজেপি-ঘনিষ্ঠ ওই সংগঠনের বক্তব্য, আদতে কংগ্রেসের আমলেই মণিপুরের এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখন রাহুল ঘোলা জলে মাছ ধরতে আসছেন।
মণিপুরে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ধারাবাহিক হিংসায় নিহতের সংখ্যা দেড়শো ছুঁতে চলছে। ঘরছাড়া প্রায় ৫০ হাজার মানুষ! গত শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠক করলেও তার পরেও হিংসার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। গত ৩ মে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর মিছিল ঘিরে চূড়াচন্দ্রপুরে অশান্তির সূত্রপাত। আর সেই ঘটনা থেকেই উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই রাজ্য জুড়ে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy