প্রতিবেদন: সৌরভ, চিত্রগ্রহণ: সৌরভ, সম্পাদনা: সুব্রত
সাম্প্রতিক সময়ে এই রকম দুর্ঘটনা দেখেনি দেশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৩৮। আহত ৯০০ জনেরও বেশি। রাত থেকেই উদ্ধারকাজে ব্যস্ত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও ওড়িশা পুলিশ। নেমেছে সেনাও। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। স্থানীয় সূত্রের দাবি, প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেসই তীব্র গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে একই লাইনে আগে আগে চলতে-থাকা একটি মালগাড়ির পিছনে। দুর্ঘটনার অভিঘাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। ২৩টি কামরার মধ্যে ১৫টি কামরা লাইন থেকে ছিটকে পড়ে পাশের ডাউন লাইনে ও নয়ানজুলিতে। সেই লাইন দিয়ে তখন আসছিল ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। বেঙ্গালুরু-হাওড়া ডাউন ট্রেনটি সেই বেলাইন কামরাগুলির উপর এসে পড়ে। হাওড়াগামী সেই ট্রেনটিরও দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। আবার রেলের একটি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মালগাড়ির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কোনও সংঘর্ষ হয়নি। কোনও কারণে প্রথমে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। সেটি গিয়ে পড়ে পাশের ডাউন লাইনে। সেই লাইন ধরে তখন আসছিল ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেটি এসে ধাক্কা মারে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত কামরাগুলিকে। সেই ধাক্কার অভিঘাতে করমণ্ডলের ইঞ্জিন তৃতীয় লাইনে দাঁড়িয়ে-থাকা মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার কোনও কারণই নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সকালেই পৌঁছে যান অকুস্থলে। তিনি জানান, কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তার কারণ খুঁজে বার করা হবে। তাঁর কথায়, “রাতেই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। একেবারে গোড়ায় গিয়ে এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে রেল। রেলওয়ে সেফটি কমিশনার (দক্ষিণ-পূর্ব সার্কল) স্বতন্ত্র ভাবে তদন্ত করবেন। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে আমাদের অগ্রাধিকার অন্য।” বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজারের স্থানীয় যাঁরা শুক্রবার সন্ধ্যার ঘটনা চাক্ষুষ করেছেন, তাঁদের বয়ান শুনল আনন্দবাজার অনলাইন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy