প্রতিবেদন: স্রবন্তী , সম্পাদনা: ঋতুরাজ
মাস গুনতেন তাঁরা। ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচী। টলি পাড়ার দুই ভালবাসার মুখ। সমাজমাধ্যমে মাঝেমাঝেই ভেসে উঠত ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে সব্যসাচীর লেখা। ‘‘আরও একটা মাস শেষ হল। আমরা মাঝেমাঝেই মাস গুনি, একটা মাস শেষ হলেই আবার দিন গুনি পরের মাস শেষ হওয়ার।’’ সব্যসাচী জানেন তাঁর আকাশে উড়তে চাওয়া পাখি মাটিতে নীরবে মৃত্যুর প্রহর গুনে চলে। সব বন্ধুরাই কাজ করছে। তাঁর ঐন্দ্রিলার এমন কেন হল? কত রাত এই এক প্রশ্ন নিয়ে কেটে গিয়েছে সব্যসাচীর। তবে সবটাই শোক নয়। এই অসুখের যাত্রায় আরও জীবন্ত হয়েছেন এই দুই ভালবাসার মানুষ। এই ভালবাসা আগলে রাখার। আশ্রয়ের। প্রশ্রয়ের। ঐন্দ্রিলা ঠাট্টার ছলে কখনও বলেছেন, ধারাবাহিকে বামদেবের চরিত্রে অভিনয় করার ফলে বাস্তব জীবনেও সব্যসাচী নাকি ও রকম খ্যাপা হয়ে উঠতে পারেন। ঐন্দ্রিলাকে ধরে রাখতে খ্যাপামির তো প্রয়োজন ছিলই! ঝড়ের রাত। দিনের ঝড়। পেরিয়ে চলেছিলেন এই দুই মানুষ। সব্যসাচী এক সময় লিখলেন, ‘‘আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম সার্জারিটাই আসল, সেটা সামলে উঠলে বাকি চিকিৎসা খুব একটা সমস্যার হবে না। তবে বিষয়টা একেবারেই উল্টে গিয়েছে। সার্জারির পরে যে কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে সেটা অনেকটাই বেশি কষ্টের। কিছু কিছু দিন বড়ই কষ্ট পায়, ব্লাড প্রেসার অস্বাভাবিক ভাবে কমে যায়, বিছানা থেকে মাথাই তুলতে পারে না। ব্রহ্মতালু থেকে শুরু করে পায়ের পাতা অবধি মারাত্মক যন্ত্রণা। হাই ডোজের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কোনও মতে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে হয়। যে ক’টা দিন ভাল থাকে, সেই দিনগুলো শুয়ে শুয়ে সিনেমা দেখে আর মোমো খায়।’’ ঐন্দ্রিলার নিশ্বাসে বেঁচে ফিরছিল সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা, যেন একটাই নাম। দিন যায়। ঐন্দ্রিলা দু’বার মারণ কর্কট রোগের সঙ্গে লড়াই করে কাজে ফেরেন।সময় খেলা করে। ফেরা হয় না ঐন্দ্রিলার। তাঁর যে নিজেকে মুক্ত করাই কাজ। যন্ত্রণা থেকে নিজেকে মুক্তি দিলেন ঐন্দ্রিলা। আর সব্যসাচী? অপেক্ষায়...! ফিনিক্স পাখির গল্পের পাতা খুলে বসে আছেন। একলা রাতে। সেখানেই ঐন্দ্রিলার সঙ্গে তাঁর অদেখা মিলন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy