Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
Maldah

প্রথমে চড়থাপ্পড়, পরে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর, অভিযোগ বামনগোলার দুই নির্যাতিতার

মালদহের দুই নির্যাতিতার দাবি, মিথ্যা অভিযোগে তাঁদের নগ্ন করে মারধর করেন হাটের লোকজন। অন্য দিকে, পুলিশও মিথ্যা মামলা দিয়েছে। মারের চোটে জখম ছিলেন তাঁরা। বাড়ি ফিরে চিকিৎসা করিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৭:৪১
Share: Save:

হাটে শুঁটকি মাছ বিক্রি করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। মিথ্যে সন্দেহে তাঁদের নগ্ন করে মারধর করা হয়েছে। গ্রামে ফিরে এমনই দাবি করলেন মালদহের বামনগোলার দুই নির্যাতিতা। দুই মহিলারই দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল তাঁদের। গত শুক্রবার রাতে মালদহ জেলার পাকুয়াহাটে চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে গণপ্রহারের অভিযোগের ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যদিও পুলিশের দাবি ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে। ঘটনাচক্রে, অন্য এক ঘটনায় পুলিশের ফাঁড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে, তাঁদের মধ্যে এই দুই নির্যাতিতাও ছিলেন। গত বুধবার তাঁদের মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে পাঁচ দিনের হেফাজতে নেয় পুলিশ। সোমবার শুনানির জন্য আবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হলে দু’জন নির্যাতিতাকে নিঃশর্তে জামিন দেয় আদালত। পুলিশকে ভর্ৎসনাও করেন বিচারক।মঙ্গলবার গ্রামে পৌঁছতে ওই দুই নির্যাতিতাকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানান, সোমবারই বাড়িতে ফিরেছেন। পাশাপাশি যে ঘটনার ভিডিয়ো নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল, সে সম্পর্কে কথা বলেন দুই নির্যাতিতা। বাড়ির উঠোনে বসে সে দিনের ঘটনা বলতে গিয়ে শিউরে ওঠেন এক নির্যাতিতা। কেঁদে ফেলেন তিনি। অপর মহিলার অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করলেও চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি। দুই নির্যাতিতার দাবি, নালাগোলা ফাঁড়িতে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তাঁরা ছিলেন না। পুলিশকে সে কথা জানানোর পরেও তবু পুলিশ তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা করে। সোমবার বাড়ি ফিরে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিজেদের চিকিৎসা করিয়েছেন দুই নির্যাতিতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy