Advertisement
E-Paper

কিউআর কোড স্ক্যান করলেই গাছের পরিচয়

শতাধিক বছরের পুরনো গাছ চিনতে গাছের গায়ে কিউআর কোড বসতে চলেছে পুরসভার জীববৈচিত্র বিভাগের উদ্যোগে। সহযোগিতা করছে চন্দননগর কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ।

কিউআর কোড বসতে চলেছে পুরসভার জীববৈচিত্র বিভাগের উদ্যোগে। সহযোগিতা করছে চন্দননগর কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ।

কিউআর কোড বসতে চলেছে পুরসভার জীববৈচিত্র বিভাগের উদ্যোগে। সহযোগিতা করছে চন্দননগর কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ। —নিজস্ব চিত্র।

সুদীপ দাস

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৯
Share
Save

পড়শি হয়ে ইতিউতি ছড়িয়ে থাকে গাছপালা। অথচ, বহু গাছের নাম-পরিচয় জানেনই না সাধারণ মানুষ। এই ‘দূরত্ব’ ঘোচাতে প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে চন্দননগর পুরসভা। শতাধিক বছরের পুরনো গাছ চিনতে গাছের গায়ে কিউআর কোড বসতে চলেছে পুরসভার জীববৈচিত্র বিভাগের উদ্যোগে। সহযোগিতা করছে চন্দননগর কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ।

চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্য বা দেশে এই কাজ কোথাও হয়েছে কি না, জানি না। তবে, হুগলি জেলায় আমরা প্রথম।’’

কিউআর কোড স্ক্যান করলে কী মিলবে?

পুরসভা সূত্রে খবর, গাছের গায়ে জিআই তার দিয়ে বাঁধা পিভিসি বোর্ডে থাকা ওই কোড মোবাইল ফোনে স্ক্যান করলেই সেই গাছের নাম, বয়স, আনুমানিক আয়ু, কার্যকারিতা ইত্যাদি নানা তথ্য হাতের মুঠোয় চলে আসবে।

মেয়র জানান, স্ট্র্যান্ড, চার্চের আশপাশ মিলিয়ে কয়েকশো গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের সেই কাজ এখনও চলছে। চন্দননগর কলেজর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের তরফে সেই সব গাছ শনাক্তকরণ করা হয়েছে। গাছের পরিচয় সম্পর্কিত তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই তৈরি হবে কিউআর কোড। আপাতত ইংরেজি ভাষায় তথ্য নথিভুক্ত করা হচ্ছে। বাংলা-সহ অন্যান্য ভাষাতেও যাতে অনুবাদ করা যায়, সেই চিন্তাভাবনা চলছে।

পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি, এমন ভাবে পিভিসি বোর্ড লাগানো হবে বা সেটি তার দিয়ে বাঁধা হবে, যাতে গাছের কোনও ক্ষতি না হয়।

চন্দননগরের বাসিন্দা রবীন দাস নামে এক যুবকের কথায়, ‘‘অভিনব উদ্যোগ। নিজের শহরের কত গাছ সম্পর্কে আমার ন্যূনতম ধারণা নেই! কিউআর কোড স্ক্যান করলেইসমস্ত তথ্য মিলবে, ভাবতেই ভাল লাগছে।’’ পশুপ্রেমী চন্দন ক্লেমেন্ট সিংহ বলেন, ‘‘একটি গাছের নাম হয়তো অনেকেই বলতে পারবেন। এখানে তার বয়স, আয়ু সব তথ্য মিলবে। অসাধারণ ব্যাপার! এরফলে সেই গাছ সম্পর্কে মানুষের ভালবাসা বাড়বে, যা পরিবেশেরপক্ষে ভাল।’’

বছরভর দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক চন্দননগরে আসেন। বিশেষতস্ট্র্যান্ড লাগোয়া এলাকার বিভিন্ন স্থাপত্য ঘুরে দেখেন তাঁরা। শতাধিক বছরের সুউচ্চ গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নেন। মেয়র বলেন, ‘‘বিদেশি পর্যটকদের কাছেও উপরি পাওনা হবে এই সমস্ত গাছের তথ্য।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Trees tree Municipality

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}