সম্পাদনা: সৌম্য
ভাইয়ের সঙ্গে ভাইয়ের প্রতারণা! ঘরেই প্রতারণার শিকার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। না জানিয়ে ব্যবসা থেকে চার কোটিরও বেশি টাকা লোপাটের অভিযোগ। ‘হাই প্রোফাইল’ এই জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেফতার হার্দিক এবং ক্রুণাল পাণ্ড্যর সৎভাই বৈভব পাণ্ড্য। ৮ এপ্রিল ৩৭ বছরের বৈভবকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। পরে বৈভবকে আদালতে পেশ করা হলে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ১২ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতেই থাকতে হবে বৈভব পাণ্ড্যকে। জালিয়াতির এই মামলায় তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা।
তিন বছর আগে, ২০২১ সালে পলিমার ফার্মের ব্যবসা শুরু করেন ভারতীয় ক্রিকেটের তারকা ভ্রাতৃদ্বয়। ব্যবসায় ৪০ শতাংশ করে অংশীদারি রয়েছে হার্দিক এবং ক্রুণালের। ২০ শতাংশ মালিকানা থাকলেও ব্যবসার যাবতীয় কিছু দেখভাল করতেন বৈভব। অভিযোগ, এই সুযোগের অপব্যবহার করেই গোপনে ২০ শতাংশ থেকে মালিকানার অংশীদারিত্ব ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছেন তিনি। বৈভব নাকি নিজের নামে একটি পলিমার ফার্মের ব্যবসাও শুরু করেছেন। সৎভাইয়ের এই অংশীদারিত্বের চুক্তি বহির্ভূত স্বতন্ত্র ব্যবসা নিয়ে অবগতই ছিলেন না হার্দিক এবং ক্রুণাল।
বৈভবের সঙ্গে বাক্বিতণ্ডায় হার্দিক এবং ক্রুণাল প্রথমে জালিয়াতির এই বিষয়টি আবিষ্কার করেন। তারপরই দায়ের হয় আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ। তার পরেই বৈভবের গ্রেফতারি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ‘প্রতারণা’, ‘অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ’, ‘জালিয়াতি’, ‘অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র’ এবং ‘ভয়’ দেখিয়ে প্রতারণার মতো ধারায় মামলা করা হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, শুধু বৈভব নন, এই আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারেন আরও অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy