ভয়ানক অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে শ্রীলঙ্কা। দেশে জ্বালানির হাহাকার। পরিবহণ প্রায় বন্ধ। খরচ বাঁচাতে সে দেশ জুড়ে ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কলম্বোর জনতা। এর পরেই শ্রীলঙ্কা জুড়ে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। তবে জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করেই দেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও রাজপক্ষের পরিবারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন।
আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কায় চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপক্ষ। তা জারি করা হয় ৩ এপ্রিল। গত দেড় সপ্তাহ ধরে সে দেশে চলছে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কট।
আর্থিক বিপর্যয়ের আবহে শ্রীলঙ্কায় দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক সঙ্কটও। শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইস্তফা দিলেন নতুন অর্থমন্ত্রী। এ ছাড়াও মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কায় ৪১ জন সদস্য সমর্থন প্রত্যাহার করায় পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের সরকার। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া (ঘটনাচক্রে যিনি প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দার ভাই)-র কাছে বিরোধীদের একাংশ দাবি জানিয়েছে, অবিলম্বে পার্লামেন্টের অধিবেশনে সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। পাশাপাশি, গোতাবায়ার ইস্তফা এবং আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলায় ‘জাতীয় সরকার’ গড়ার দাবিও উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy