প্রতিবেদন: রিঙ্কি এবং প্রচেতা, সম্পাদনা: সুবর্ণা
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, মিনাখাঁ থানার বামনপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার শেখ শাহজাহান। ৫ জানুয়ারি সরবেড়িয়ায় তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় তদন্তকারী অফিসারদের উপর আক্রমণের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেশখালির দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অর্থাৎ ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগে দাঙ্গায় মদত, প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার এবং আইনশৃঙ্ঘলায় বিঘ্ন ঘটানোর মতো বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ। সন্দেশখালির একাধিক ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে আরও একাধিক মামলা। সন্দেশখালিতে ৭ ফেব্রুয়ারির পর ৮ এবং ৯ তারিখ যে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে সেই অভিযোগেরও তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ দিন শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। যেখানে তিনি বলেন, “মিনাখাঁ থানার বামনপুকুর অঞ্চল থেকে অভিযুক্তকে (শেখ শাহজাহান) গ্রেফতার করা হয়েছে।” ৫৫ দিন পর গ্রেফতার শেখ শাহজাহান। ‘বিলম্ব’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুপ্রতিম সরকারের বয়ানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুর। তিনি বলেন, ‘‘ইডি উচ্চ আদালতে আবেদন করে তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল। আইনি বাধার কারণেই রাজ্য পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি।” একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, রাজ্যে পুলিশের ‘হাত বাঁধা’ থাকলেও ইডি চাইলেই গ্রেফতার করতে পারত, কেন করল না? পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা গড়িমসির অভিযোগ অস্বীকার করে সুপ্রতিম সরকার আরও বলেন, “পুলিশ ইচ্ছাকৃত গ্রেফতার করেনি, এটা ভুল, অপ্রপচার।” বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক (সিপিএম) নিরাপদ সর্দারের গ্রেফতারি সংক্রান্ত ভুলের কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এফআইআরের সময় সংক্রান্ত ‘ত্রুটি’র জন্য আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশ। সেই ভুল স্বীকার করে এডিজি দক্ষিণবঙ্গের সাফাই, “কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না, এই ভুল একেবারেই অনিচ্ছাকৃত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy