প্রতিবেদন: সুদীপ্তা, সম্পাদনা: সুব্রত
আদিবাসীদের মিছিলে অবরুদ্ধ কলকাতা। রানি রাসমণি রোডে আয়োজিত সমাবেশে দলে দলে যোগ দিচ্ছেন রাজ্যের সব জেলার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। ‘ক্ষত্রিয়’ কুড়মিদের আদিবাসী সংরক্ষণ দেওয়া যাবে না, প্রত্যাহার করতে হবে কেন্দ্রের অভিন্ন দেওয়ানিবিধি এবং শীঘ্রই কার্যকর করতে হবে বনাধিকার আইন (২০০৬)— মূলত এই সব দাবিগুলিকে সামনে রেখেই কলকাতায় মিছিল এবং সমাবেশের ডাক দিয়েছে রাজ্যের একাধিক আদিবাসী সংগঠন। আন্দোলনকারীদের দাবি, এ দিন জঙ্গলমহল-সহ রাজ্যের সব জেলা মিলিয়ে মোট ৪০টি আদিবাসী সংগঠন শুক্রবারের মিছিলে সামিল হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছে ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অরগানাইজেশনস’।
কেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধিতে আপত্তি? আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ইউসিসি (ইউনিফর্ম সিভিল কোড) লাগু হলে সাংবিধানিক অধিকার থেকে আদিবাসীরা বঞ্চিত হবেন। তাঁদের আশঙ্কা, কেন্দ্র অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করে আদিবাসী সম্প্রদায়কে ভিটেমাটি হারা করতে চাইছে। আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট বক্তব্য, “কেন্দ্র কালাকানুন (অভিন্ন দেওয়ানি বিধি) এনে আদিম জনজাতি মানুষের ‘ভূমিপুত্রের অধিকার’ কেড়ে নিতে চাইছে।” অন্য দিকে রাজ্য সরকারের আদিবাসী নীতি নিয়েও সন্তুষ্ট নন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল রাজনৈতিক স্বার্থে ভোট ব্যাঙ্ক তৈরির উদ্দেশে ভুয়ো আদিবাসী শংসাপত্র বিলি করছে। আদিবাসী সংগঠনগুলির দাবি, অবিলম্বে এই ‘এসসি সার্টিফিকেট’ দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং ‘ক্ষত্রিয়’ কুড়মিদের কোনও ভাবেই আদিবাসী সংরক্ষণের আওতায় আনা যাবে না। তাঁদের হুঁশিয়ারি, এই দাবি না মানলে আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রীকে জঙ্গলমহলে ঢুকতে দেওয়া হবে কি না, সে নিয়েও তাঁরা ভাববেন। আদিবাসীদের জনজীবনকে সুরক্ষিত করতে বনাধিকার আইন (২০০৬) কার্যকর করার দাবিও তুলেছে ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অরগানাইজেশনস’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy